ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:শনিবার সন্ধ্যায় বান্দ্রায় এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে তিনজন আততায়ী গুলি করে খুন করেছে। এই ঘটনার পর গোটা বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাবা সিদ্দিকি, সলমন খান ও শাহরুখ খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বিনোদন জগতের অনেক তারকা লীলাবতি হাসপাতালে ছুটে যান বাবা সিদ্দিকিকে দেখতে। জানা গেছে, বাবা সিদ্দিকি তার মৃত্যুর সময় তিনি পূর্ব বান্দ্রায় তার ছেলের অফিসের বাইরে ছিলেন। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার বন্ধু ও অনুরাগীরা।
মিঠুন চক্রবর্তীঃ নেপটিজমে বিশ্বাসী নই, মেধা ও শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম
উদ্বেগ প্রকাশ
বাবা সিদ্দিকি বিনোদন জগতে একটি পরিচিত নাম। সলমন থেকে শাহরুখ, ক্যাটরিনা থেকে প্রীতি জিন্টা—সবাই তার ইফতার পার্টিতে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। তিনি একসময় নিজেও অভিনয় জগতের মানুষ ছিলেন, তবে রাজনীতিতে আসার পর বেশি পরিচিতি লাভ করেন। বাবা সিদ্দিকির পার্টির আমন্ত্রণ সাধারণত কেউ মিস করতেন না, এমনকি সলমন ও শাহরুখও।বাবা সিদ্দিকির হাত ধরেই সলমন ও শাহরুখের দীর্ঘদিনের মনোমালিন্যের অবসান ঘটেছিল। ২০০৮ সালের একটি ঘটনা থেকে শুরু হয়ে ২০১৪ সালে বাবার ইফতার পার্টিতে তাদের পুনর্মিলন ঘটে। এই পার্টিতে শাহরুখ ও সলমন একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিলেন, যার ফলে বলিউডের দুই সুপারস্টারের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধ শেষ করে দেয়।
দুর্গাপুজো বন্ধের প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া, কামালপুরের কামাল দেখাল উদ্যোক্তারা
শনিবার রাতে যখন সিদ্দিকিকে গুলি করা হয়, তখন তিনি নির্মল নগরের কোলগেট গ্রাউন্ডের কাছে তার বিধায়ক পুত্র জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, তিন আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাবা সিদ্দিকি মহারাষ্ট্রের পশ্চিম বান্দ্রা কেন্দ্র থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে এনসিপিতে যোগ দেন। সিদ্দিকি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ, শ্রম, এবং ভোক্তা সুরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবার ও বন্ধুরা। গোটা বলিউড এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সামনে এনে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।