arms-came-to-sandeshkhali-by-river

ব্যুরো নিউজ, ২৭ এপ্রিল: শাহজাহানের গড় সন্দেশখালি। আর সেখান থেকে উদ্ধার হয় বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার। আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দিনভর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সিবিআই-এর পাশাপাশি ময়দানে নামে NSG-কমান্ড ও রোবটও।

ভোট আবহেই সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় সিবিআই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সরবেড়িয়ার আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় অভিযান চালায় সিবিআই। আর তাতেই কার্যত কেঁচো খুঁড়তে বেড়িয়ে আসে কেউটে সাপ! মল্লিকপাড়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালের মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। তাজা বোমার পাশাপাশি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, দেশি ৭ এম‌এম বোমা, কার্তুজ উদ্ধার হয়। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রাখে।ময়দানে নামে NSG-কমান্ড ও রোবট। ভোটের বাজারে অস্ত্র মজুত করা হয়েছে? নাকি আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা ছিল? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সন্দেশখালিতে বিপুল অস্ত্র এলো কিভাবে? আর কোথায় কোথায় মিলবে অস্ত্র? পোল খুললেন শুভেন্দু

ঘটনার সূত্রপাত ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেখানে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শেখ শাহজাহানের অঙ্গুলিহিলনে বিক্ষোভের মুখে পড়ে রক্তাক্ত হয় ইডি আধিকারিকেরা। আর তখন থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালির নাম। আর তার পর থেকেই কার্যত অবিশ্বাস্য ভাবেই একে একে মোড় বদলায় ঘটনার। ময়দানে মানে সেখানকার মহিলারা। ধর্ষণ, অত্যাচার, জমি দখল, ভেরি দখল, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। এই সব নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এক রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একে একে বেড়িয়ে আসে কেউটে সাপ!

জানা গিয়েছে, মার্কিনমুলুক থেকে আনা হয়েছিল ওই অস্ত্র। তবে কি কোনও আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? আর তা যদি না হয় তবে কীভাবে এলো এতো বিদেশী অস্ত্র? কি কারনেই বা এই বিপুল পরিমাণ আস্ত্র মজুত করা ছিল? আর এতো বিদেশী অস্ত্র কেনার টাকাই বা কোথা থেকে এল? তবে কি অস্ত্র পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শেখ শাহজাহান? আর সেই সকল প্রশ্ন তুলেই কার্যত উত্তপ্ত রাজ্য- রাজনীতি।

ভারত- বাংলাদেশ সিমান্তে অবস্থিত সন্দেশখালি। ফলে ওই অঞ্চল থেকে খুব সহজেই বাংলাদেশ মারফৎ আন্তর্জাতিক সংযোগ করার সুবিধা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই ওই বিপুল অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশ হয়ে জল পথেই সেই বিপুল অস্ত্র সন্দেশখালিতে আনা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে নদী পথে আমবেড়িয়া, লেবুখালি হয়ে পুকুরিয়াচক পেড়িয়ে রমাপুর। আর সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালিতে ওই অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর