ব্যুরো নিউজ ৩ অক্টোবর: দেখতে দেখতে দুই মাস হয়ে গেছে। ৯ আগস্টের রাতে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনায় আরজি করের ৩২ বছর বয়সী তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের বিচার এখনও অধরায় রয়ে গেছে। এই ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এদিকে, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টে বারবার নাক কাটা যাচ্ছে রাজ্যের এবং কলকাতা পুলিশের।
শিয়ালদাহ স্টেশনের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক
মুখ্যমন্ত্রীকে এ কি বললেন অভিনেত্রি ?
এখন আরজি করের বিচার দাবি করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ কর্মবিরতির পর তারা ফের কাজে ফিরলেও, মহালয়ায় এক মহামিছিলের ডাক দেন। এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন নাগরিক সমাজের সদস্যরা, এমনকি অভিনেত্রী সোহিনী সরকারও। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। সোহিনী স্পষ্ট করে বলেন, এটা শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নয়। ওরা পথ দেখিয়েছেন। এই আন্দোলন নাগরিক সমাজের।”তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, তার জন্য আমরা এই লড়াই করছি। সরকারি হাসপাতাল এবং স্কুলের দুরবস্থা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণ মানুষ বিপদে আছে, কিন্তু নেতা-মন্ত্রীরা অট্টালিকায় বসে থাকেন। যখন সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যান, তখন দেশ উন্নত হতে পারে না।সোহিনী আরও বলেন, এখন সরকারের স্কুলে নেতা-মন্ত্রীর সন্তানদের পড়ানো উচিত। সরকারি হাসপাতালে নিজেদের চিকিৎসা করানো উচিত। মফস্বলে আরও বেশি অরাজকতা চলছে, কিন্তু শহরে আমরা একটু বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত। আমরা এখানে আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য এসেছি।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল কি এবার প্রথমবার T20 বিশ্বকাপ জিতবে?
তিনি পিতৃতন্ত্রের সমালোচনা করেন, তবে স্পষ্ট করেন যে, পিতৃতন্ত্র কখনোই পুরুষদের বিরোধিতা নয়, এটি একটি আইডিয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালীঘাটের ময়না বলে সম্বোধন করার বিষয়টিকেও তিনি পিতৃতন্ত্রের নিদর্শন হিসেবে দেখান। সোহিনী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা করতে পারি, কিন্তু একজন মহিলাকে এভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। মেয়েদের পোশাক, সিগারেট খাওয়া ইত্যাদি নিয়ে সারাক্ষণ আক্রমণ করা হচ্ছে।”