ব্যুরো নিউজ ১৪ আগস্ট ২০২৫ : ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭-এর পর থেকে ভারতের যাত্রা এক অসাধারণ সাফল্যের গাথায় পরিণত হয়েছে। এই যাত্রায় কৃষি উৎপাদন থেকে শুরু করে পরমাণু ও মহাকাশ প্রযুক্তি, সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আয়ুর্বেদ থেকে জৈবপ্রযুক্তি, বিশাল ইস্পাত কারখানা থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে এক পরাশক্তি এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের জন্ম হয়েছে।
স্বাধীনতার পরবর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং মাইলফলক
১৫ আগস্ট ১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৪ই আগস্ট মধ্যরাতে ‘ট্রিস্ট উইথ ডেসটিনি’ ভাষণ দেন। ১৫ই আগস্ট তিনি দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
২৬ জানুয়ারি ১৯৫০: ভারত প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর গণপরিষদ ভারতের সংবিধান গ্রহণ করে এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি তা কার্যকর হয়। এর মাধ্যমে ভারত একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় এবং প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়।
প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৫১): ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৫১ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এটি মূলত কৃষি খাতের উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিল।
১৯৫২: ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচন ১৯৫১ সালের ২৫শে অক্টোবর থেকে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (INC) ৩৬৪টি আসন জিতে ক্ষমতা লাভ করে এবং জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৫৩: এয়ার ইন্ডিয়ার জাতীয়করণ ১৯৫৩ সালের এয়ার কর্পোরেশনস অ্যাক্টের অধীনে, নেহেরু সরকার এয়ার ইন্ডিয়াসহ মোট নয়টি এয়ারলাইনকে জাতীয়করণ করে দুটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পরিণত করে—ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল।
১৯৫৪: ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি ১৯৫৪ সালের ২৯শে এপ্রিল ভারত ও চীন পঞ্চশীল বা পাঁচটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে স্বাক্ষর করে।
১৯৫৫: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) প্রতিষ্ঠা ১৯৫৫ সালের ১লা জুলাই ইম্পেরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে জাতীয়করণ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নাম দেওয়া হয়।
১৯৫৭: মুদ্রার দশমিকীকরণ স্বাধীনতার দশ বছর পর, ১লা এপ্রিল ১৯৫৭ থেকে ভারতীয় মুদ্রা দশমিক পদ্ধতিতে আসে। এক টাকার ১০০ ভাগ করে নতুন পয়সার (নয়া পয়সা) প্রচলন হয়।
১৯৬০: সবুজ বিপ্লবের সূচনা নরম্যান বোরলাগ-এর নেতৃত্বে ১৯৬০-এর দশকে সবুজ বিপ্লব শুরু হয়। এটি উচ্চ ফলনশীল জাতের (HYVs) গম প্রবর্তন করে খাদ্য উৎপাদনে বিপ্লব ঘটায়।
১৯৬১: গোয়া মুক্তি ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক অভিযানের মাধ্যমে গোয়া, দমন ও দিউ পর্তুগিজ শাসন থেকে মুক্ত হয়।
১৯৬২: ভারত-চীন যুদ্ধ অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৬২ সালে হিমালয়ের বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হয়। ২০শে নভেম্বর চীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ ১৯৬৩ সালের ২১শে নভেম্বর কেরালার থুম্বা থেকে প্রথম সাউন্ডিং রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা হয়। এই সাফল্যের পেছনে প্রধান অবদান ছিল ড. বিক্রম সারাভাই এবং ড. এ.পি.জে. আবদুল কালামের।
১৯৬৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের ‘অপারেশন জিব্রাল্টার’-এর প্রতিক্রিয়ায় ১৯৬৫ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলে।
১৯৬৬: ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৬৯: ISRO-এর গঠন জাতীয় উন্নয়নে মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) ১৯৬৯ সালে গঠিত হয়।
১৯৭০: শ্বেত বিপ্লবের সূচনা ১৯৭০ সালের ১৩ই জানুয়ারি অপারেশন ফ্লাড চালু হয়, যা বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং ভারতের ন্যাশনাল ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি যুগান্তকারী প্রকল্প ছিল।
১৯৭১: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলে, যার ফলস্বরূপ পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
India Independence Day : ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন: ইতিহাস , বর্তমান ও আগামীর তাৎপর্য
১৯৭৫: জরুরি অবস্থা জারি ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১শে মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই সময়ে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয় এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের কারারুদ্ধ করা হয়।
১৯৮২: ভারতে রঙিন টেলিভিশনের সূচনা ১৯৮২ সালে দূরদর্শন জাতীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করে এবং একই বছর রঙিন টেলিভিশন চালু হয়। প্রথম রঙিন অনুষ্ঠান ছিল ১৫ই আগস্টের স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের সরাসরি সম্প্রচার।
১৯৮৩: প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় ২৫শে জুন ১৯৮৩ সালে লর্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে ভারত প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে।
১৯৮৪ : ভারতের প্রথম ভূতল রেল পরিষেবা চালু কলকাতায় কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা। এটি ১৯৮৪ সালের ২৪শে অক্টোবর চালু হয়েছিল, যা ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মেট্রো সিস্টেমের অধিকারী করে তোলে। এটি ছিল দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো পরিষেবাও।
১৯৮৭: গোয়া ভারতের পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হয় ৩০শে মে ১৯৮৭ সালে গোয়া ভারতের ২৫তম পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে মর্যাদা পায়।
১৯৮৮: SEBI প্রতিষ্ঠা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) ১৯৮৮ সালের ১২ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ভারতের শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
১৯৮৯: অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ২২শে মে ১৯৮৯ সালে অগ্নি-I ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা হয়। এটি পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ধরনের অস্ত্র বহন করতে সক্ষম ছিল।
১৯৯১: ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ ১৯৯১ সালে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে উদারীকরণ, বেসরকারীকরণ এবং বিশ্বায়ন-এর নতুন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হয়।
১৯৯৫: দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (DMRC) প্রতিষ্ঠা ৩রা মে ১৯৯৫ সালে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড গঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল দিল্লির জন্য বিশ্বমানের গণপরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করা।
১৯৯৮: পোখরান-II পরীক্ষা ১৯৯৮ সালের ১১ই এবং ১৩ই মে পোখরান-II নামে পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়। ড. এ.পি.জে. আবদুল কালাম এই প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন।
১৯৯৯: কারগিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কারগিল যুদ্ধ হয়। ২৬শে জুলাই ভারত ‘অপারেশন বিজয়’-এর মাধ্যমে বিজয় ঘোষণা করে, যা এখন কারগিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
২০০০: ঝাড়খণ্ড ভারতের ২৬তম রাজ্য হয় ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিহারের ১৮টি জেলা নিয়ে গঠিত হয়।
২০০৭: ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮: চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ ২২শে অক্টোবর ২০০৮ সালে ISRO কর্তৃক চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করা হয়, যা চাঁদের পৃষ্ঠে জল থাকার প্রমাণ দিয়েছিল।
২০১০: শিক্ষা মৌলিক অধিকার ১লা এপ্রিল ২০১০ সালে শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) কার্যকর হয়, যার ফলে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হয়।
২০১৫: প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে NITI Aayog গঠন পরিকল্পনা কমিশনের পরিবর্তে ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি NITI Aayog (National Institution for Transforming India) গঠিত হয়, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি নীতি-নির্ধারণী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে।
২০১৭: GST চালু ১লা জুলাই ২০১৭ সালে Goods and Services Tax (GST) চালু হয়, যা ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরল ও সুসংহত করে।
২০১৯: প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ৩৭০ ধারা বাতিল ২০১৯ সালের ৫ই এবং ৬ই আগস্ট সংসদের উভয় কক্ষে প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়।
২০২০: কোভিড-১৯ মহামারী ২০২০ সালে ভারত কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে কঠোর লকডাউনের মুখোমুখি হয়।
২০২২: প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি ওড়িশার এক আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু ২০২২ সালের ২৫শে জুলাই ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
২০২৩: চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য ১৪ই জুলাই ২০২৩-এ চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২৩শে আগস্ট বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে। এটি ভারতকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ এবং চাঁদে সফলভাবে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই সাফল্য ভারতের স্বদেশী প্রযুক্তি এবং আত্মনির্ভরতার এক অনন্য উদাহরণ।
২০২৫: পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেলওয়ে আর্চ ব্রিজ ২০২৫ সালের ৬ই জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপর নির্মিত চেনাব রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। এই সেতুটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেলওয়ে আর্চ ব্রিজ, যা কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন করেছে।
এক পরাশক্তির উত্থান: অর্থনৈতিক এবং সামরিক অগ্রগতি
২০২৫ সালে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে অভ্যন্তরীণ সংস্কার এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ভারতের জিডিপি তিনগুণ বেড়েছে। ভারতের পরিষেবা রপ্তানি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং ডিজিটাল লেনদেন বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।অর্থনৈতিক সাফল্যের পাশাপাশি ভারত সামরিক ক্ষেত্রেও এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সামরিক শক্তি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পরেই স্থান করে নিয়েছে।
ভারতের বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর আপোষহীন নেতৃত্বে , ঔপনিবেশিক এবং তার পরবর্তী সময়ের সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে ভারত আজ সেই ব্রিটিশ রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে, যারা একসময় এই দেশকে শাসন করত। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং সামরিকভাবে উন্নত এই ভারত এখন তার সভ্যতা, দর্শন এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব পুনরুদ্ধার করার পথে এগিয়ে চলেছে।


















