ব্যুরো নিউজ, ১১ এপ্রিল: রাজ্য সরকার জলপাইগুড়িতে ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি নতুন করে গড়ে দেওয়ার টাকা দিতে চায়। কিন্তু তার অনুমতি দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাতে রাজভবন থেকে বেরিয়ে এমনটাই জানালেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যকে লিখিতভাবে বুধবার দুপুরেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সরকারকে অনুমতি দেওয়া হবে না জলপাইগুড়িতে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার টাকা দেওয়ার। তিনি এই প্রসঙ্গে অসমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বাংলার প্রতি আরও একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন।
১ লা বৈশাখে বদলাতে চলেছে কোন কোন রাশির ভাগ্য?
তবে অভিষেক এদিন জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার যাবেন জলপাইগুড়িতে এবং ধূপগুড়িতে সভা করবেন।
এই প্রসঙ্গে অভিষেক মন্তব্য করেছেন, কমিশন অসমে বিহু উৎসব পালনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীনই অনুমতি দিয়েছে টাকা দেওয়ার। তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, দুপুরে কমিশনের তরফে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ, যাঁদের ঘর মাটিতে মিশে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির টাকা রাজ্য দিতে চাইলেও কমিশন অনুমতি দেবে না। রাজ্যকে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া যাবে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতির জন্য টাকা দেওয়া যাবে। অল্প ক্ষতি হলে পাঁচ হাজার টাকা এবং বেশি ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাবে না। আমার প্রশ্ন, এরা বাংলা বিরোধী নয় তো কারা বিরোধী?’’
এখানেই শেষ নয়, অভিষেক এর পরেই অসমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘অসমে বিহু পালনের জন্য গত পরশু ওই রাজ্যের ২০০০টি কমিটিকে কমিশন দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন উৎসব পালনের জন্য এই টাকা দেওয়া হল। উৎসব নিয়ে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলার যখন প্রয়োজন, তখন কমিশন অনুমতি দিল না। কারণ বাংলায় বিজেপির সরকার নেই। অসমে রয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত, বিজেপি বাংলা-বিরোধী।’’
তবে অভিষেক এদিন জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার যাবেন জলপাইগুড়িতে এবং ধূপগুড়িতে সভা করবেন। সেখানে তিনি দেখা করবেন ১৬০০ পরিবারের প্রতিনিধির সঙ্গে। দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূলের যে প্রতিনিধিরা সোমবার কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁরাও থাকবেন ধূপগুড়ির সভায় এবং অভিষেক জানিয়েছেন, ওইদিন তারা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও শোনাবেন।