ব্যুরো নিউজ, ৬ এপ্রিল: ৮ বছর বয়সেই রেকর্ড গড়লেন দিল্লির স্বকৃতি। হিমালয় অ্যাডভেঞ্চারে নেমে মাত্র ৩ দিনের মধ্যে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে ট্রেক করেছে এই তরুণী।
এক পায়েই সিকিমের মাউন্ট রেনক জয় | লক্ষ্য এভারেস্টে জয়ের
দিল্লির স্বকৃতি ইনসান। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার বয়সী বেশিরভাগ বাচ্চারা যেই সময় খুমে বিভর সেই সময় স্বকৃতি স্পোর্টস সু পরে রেডি। প্রতিদিন ভোর 4:30 টায় উঠে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ে। তার দৈনন্দিন রুটিন হল ৭ কিলোমিটার দৌড়ানো। যা প্রায় 10,000টি পদক্ষেপের সমান।
চতুর্থ শ্রেণীতে ওঠার আগে 9 দিনের স্কুল ছুটির সময়, স্বকৃতি তার বাবার সাথে ভারত রেলওয়ের তৎকাল টিকিটেই দিল্লি থেকে গোরখপুর (13 ঘন্টা) যাত্রা করে। এবং তারপরে গোরখপুর থেকে পোখরা পর্যন্ত বাসে 12 ঘন্টার যাত্রা। তাদের মিশন? অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্র্যাক।
মাত্র তিন দিনের মধ্যে ৪ হাজার ১৩০ মিটার (13,500 ফুট)-এ পৌঁছনই ছিল তাদের লক্ষ্য। অনেকেই সরাসরি কাঠমান্ডুতে ফ্লাইট করতে পৌঁছানোর পর পোখরাতে আরেকটি ফ্লাইট নিতেই পছন্দ করে। তবে স্বকৃতির জন্য, অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়েছিল বাড়ি থেকেই।
UPI দিয়েও এবার থেকে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে টাকা
স্বকৃতি কখনই একটি সাধারণ ছুটির মতো করে তার এই কিছু কাটাতে চায়নি। তার পরিকল্পনা সবসময়ই এলোমেলো এমনটাই জানান স্বকৃতির বাবা। তিনি জানান, সে স্বাভাবিকভাবেই ক্রীড়াবিদ, এবং আমাদের কখনই স্বকৃতিকে খেলাধুলা বা অন্য কিছু করার জন্য ঠেলে দিতে হয়নি। সে ৫ বছর বয়স থেকেই খুব তাড়াতাড়ি দৌড়ানোর অভ্যাস শুরু করেছিল।
সাধারণত অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্র্যাক (ABC ট্র্যাক) করতে ৯ দিনের বেশি সময় লাগে। কিন্তু, স্বকৃতি এবং তার বাবা প্রথম দিন পথ চলা শুরু করে 1780 মিটার উচ্চতায় ঝিনু ডান্ডা পৌঁছায়। সেখান থেকে আপার সিনুওয়া পর্যন্ত 2300 মিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। দ্বিতীয় দিন- আপার সিনুওয়া থেকে দেউরালি (3200 মিটার) উচ্চতায় পৌঁছায়। তৃতীয় দিন- দেউরালি থেকে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প (4130 মিটার) উচ্চতায় পৌঁছায় তারা। ৪র্থ দিন- সকাল ৬.৩০ মিনিটে বাবা-মেয়ে দু’জন হাটা শুরু করে বিকেল সাড়ে ৫টায় ঝিনুরে ফিরে আসে। ছোট্ট স্বকৃতির এই দুঃসাহসিক কীর্তি বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে ভয়ঙ্কর চ্যেলেঞ্জের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।