লাবনী চৌধুরী, ২৫ ফেব্রুয়ারি: যদিও চারিদিকে অফিস- বিল্ডিং- কমপ্লেক্স যেনও এক প্রকার কংক্রিটের জঙ্গল, আর এর জেরেই কমছে তৃণভূমি। কিন্তু এর মাঝেই যেনও এক চমক দিল তিলোত্তমা। প্রতি বছর শীতে পরিযায়ী পাখিদের আকর্ষণ করে কলকাতার নিউ টাউনে গড়ে ওঠা ইকো পার্ক। দেশের পাখি তো বটেই, সঙ্গে বিদেশী পাখিদেরও আনাগোনাও এই শহরেই।
কঠোর শীতের জায়গা থেকে পরিযায়ী পাখিরা প্রতি বছরই আসে ভারতীয় উপমহাদেশে। কিছু সময়ের জন্য বাসাও বাঁধে, আবার ফিরে যায় নিজেদের দেশে। শুধু এই আসা- যাওয়ার মাঝেই আমাদের দিয়ে যায় ক্ষণিক আনন্দ। তেমনই এক ক্ষণিক আনন্দের ছবি তুলে ধরেছেন কলকাতার এক পাখি প্রেমিক সৌভিক রায়চৌধুরী।
দীর্ঘতম কেবল ব্রিজ ‘সুদর্শন সেতু’র উদ্বোধন করলেন মোদী
আর সেই ছবিতে তিনি ক্যমেরাবন্দী করেছেন এক বহু বিরল প্রজাতির পাখিকে। সেই ‘বিদেশিনী’র নাম প্যালাসেস গ্রেসোফার ওয়ারব্লার। এই বিদেশীর ঠিকানা একটি নয়। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চিন ও করিয়ান উপদ্বীপে এনাদের রাজত্ব।
হাল্কা শীতের আমেজ উপভোগ করতে ক্যানালের ধারে লম্বা ঘাসের ওপর দিব্যি বসেছিলেন এই বিদেশিনী। আর তখনই তাকে ক্যমেরাবন্দী করেন পাখি প্রেমিক সৌভিক রায়চৌধুরী। গত শনিবার সৌভিক রায়চৌধুরীর ক্যমেরায় ধরা দিয়েছে প্যালাসেস গ্রেসোফার ওয়ারব্লার।
পাখি পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, গত তিন দশক ধরে এই পাখির দেখা মেলা ভার। তবে, বিশ-ত্রিশ বছর আগে জোকা এলাকায় এই পাখির দেখা মিলত, কিন্তু এখন আর সেটা হয় না। পাখিটি আকারে ছোট ও এটি লম্বা লম্বা ঘাসের মধ্যে নিখুঁতভাবে গা- ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। তাই সাধারণ ভাবে লোকের চোখ এড়াতে পারে সহজেই। কীট-পতঙ্গ, ফড়িং এসব খেয়েই বেচে থাকে এই পাখি।