সংকল্প দে, ১ মেঃ (Latest News) মমতার সফরের মুখেই, ফের মালদায় তৃনমূলে ভাঙন
মালদহের চাঁচলের পর এবার রতুয়াতেও শাসক শিবিরে ভাঙন ধরাল কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মহম্মদ হেসামুদ্দিন। তার সঙ্গে ব্লকের ১০টি অঞ্চলের কয়েকহাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। রতুয়ার সামসি ভগবানপুরে ওই সভা হয়। হাজির ছিলেন মালতীপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আলবেরুনী জুলকারনাইন, মোস্তাক আলম এবং দুই প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী প্রমুখ।
দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া নেতা হেসামুদ্দিন আগে কংগ্রেসেই ছিলেন। রতুয়া ১নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তার স্ত্রী বর্তমানে রতুয়া ১নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
গত পঞ্চায়েত ভোটের পর মালদহে মাটি হারায় কংগ্রেস। সম্প্রতি সাগরদিঘি বিধানসভার ফলে উচ্ছ্বসিত হয়ে হারানো মাটি ফিরে পেতে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি চাঁচল ২নম্বর ব্লকেও একাধিক তৃণমূল নেতা ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন।
জেলা কংগ্রেসের তরফে যোগদান মেলা কর্মসূচি চলছে। দাপুটে নেতা হেসামুদ্দিনের পাশাপাশি তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি ও রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। সমরকে মামা বলেন আব্দুর। তৃণমূলে থাকার সময়েই মামা ভাগনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্য সভা থেকেই তাদের নিশানা করেন। এরপর জেলা বা ব্লক কমিটির নতুন তালিকায় ঠাঁই হয়নি হেসামুদ্দিনের।
এদিন হেসামুদ্দিন কংগ্রেসে ফিরলেও স্ত্রী আলতাফুন নেশার অবস্থান নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। যদিও স্ত্রীর হয়ে তিনিই কার্যত পঞ্চায়েত সমিতি চালান বলে কানাঘুঁষো রয়েছে। ফলে আলতাফুন কি করবেন, তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় কংগ্রেস।
হেসামুদ্দিন এদিনও বলেন, মামা ভাগনে মিলে জেলাকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের উৎখাত করে জেলাকে রক্ষা করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য। টাকার বিনিময়ে তারা পদ বিক্রি করে। এমনকি প্রার্থীও বিক্রি হচ্ছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, রাস্তাঘাটে হাটেবাজারে বিভিন্ন ভাবে অভিনয় করে মানুষ ঔষধ বিক্রি করে। কিন্তু সুপার ষ্টার সলমান খান বা অমিতাভ বচ্চন হওয়া যায়না। হাটে ঔষধ বিক্রি করা আর সুপার ষ্টারের সঙ্গে তুলোনা করছে তারা। দলে থেকে অনেকদিন ধরেই মহম্মদ হেসামুদ্দিন দলবিরোধী কাজ করছিল। মহম্মদ হেসামুদ্দিন যাওয়ায় দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে হাজার হাজার নয়, দুই থেকে তিনজন কংগ্রেসে গেছে।
এই যোগদানকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিকের যুব মোর্চা সভাপতি অয়ন রায় বলেন, তৃণমূলের দুজন প্রভাবশালী দলের সেরা। বাকিদের চুনোপটি মনে করে। কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়না। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হলে ছারখার হবে তৃণমূল। (EVM News)