ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৭ এপ্রিলঃ র্যাম্প ওয়াক চলছে। লাস্যময়ী তন্বী মডেলরা ঢেউ তুলছেন শরীরী বিভঙ্গে। পা ফেলছেন মাপা দূরত্বে। দর্শকদের মনেও তখন ঢেউ। কিন্তু এই তন্নীরা সবাই কিন্তু খুব বেশি হলে ২০-২২, ২৫ বা বড়জোর ২৮। ৩০ বা ৩২ ও মডেলদের পক্ষে বেশি বয়স বলে ধরা হয়। সেলিব্রেটি কেউ হলে অবশ্য আলাদা কথা। পপ কুইন ম্যাডোনা (Pop Queen Madonna) তো এখনো বিভিন্ন ম্যাগাজিনের কভার গার্ল। তাঁর বয়স এখন ৬৫। হলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী সান্দ্রা বুলকও মাঝেমধ্যে কোন কোন ম্যাগাজিনের কভার গার্ল হন। অর্থাৎ কভার পেজে ছবি। সান্দ্রার বয়স এখন ৫৯। কিন্তু প্রবীণতম মডেল বা কভার গার্ল এর তকমা এদের থেকে কেড়ে নিলেন এক মহিলা। তার বয়স শুনলে চমকে যাবেন। ১০৬ বছর। পৃথিবীবিখ্যাত ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন ‘ ‘ভোগ’-এর (Bhog) কভার গার্ল হয়েছেন ১০৬ বছর বয়স্ক এক মহিলা। তিনি ফিলিপাইনসের। নাম হোয়াং ওড ওগ্গে (Apo Maria “Whang-Od” Oggay)। মারিয়া ওগ্গে নামেও তিনি পরিচিত। একজন ট্যাটু আর্টিস্ট।
ছোটবেলা থেকেই ট্যাটু আঁকা তার নেশা। এখনো এই বয়সেও ট্যাটু আঁকেন। ফিলিপাইন্সে তিনি ট্যাটু শিল্পের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। তার বাবা ট্যাটু শিল্পী ছিলেন। তার কাছেই ট্যাটু শিল্পে হাতেখড়ি হোয়াং ওড- এর। ফিলিপাইনসের রাজধানী ম্যানিলা থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাসকালান নামের একটি পার্বত্য গ্রামে তাঁর বাড়ি। রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টার রাস্তা। তিনি কালিঙ্গা নামের এক উপজাতির মানুষ। ট্যাটু শিল্পের মাধ্যমে কালিঙ্গা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তিনি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিন তার সেই উদ্যোগ, কৃতিত্ব ও সাফল্যকে স্বীকৃতি দিল।
‘ভোগ ফিলিপাইনস’ এর এডিটর বিয়া ভালদেস জানিয়েছেন, তাদের বোর্ড মিটিংয়ে সর্বসম্মতভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে হোয়াং-ই হবেন এবারের কভার গার্ল। অর্থাৎ প্রবীণতমা কভার গার্ল হলেন হোয়াং ওড।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জুডি ডেঞ্চ -এর। ২০২০-র ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের ব্রিটিশ এডিশনে কভার গার্ল ছিলেন জুডি। জেমস বন্ড সিরিজের একাধিক ফিল্মে যিনি জেমস বন্ডের ইমিডিয়েট বস অর্থাৎ ঊর্ধ্বতন অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও বহু বিখ্যাত ফিল্মে অভিনয় করেছেন। জুডি যখন ‘ভোগ’-এর কভার গার্ল হন ২০২০ সালে, তখন তার বয়স ৮৫। এ যাবৎ তিনিই ছিলেন প্রবীণতমা কভার গার্ল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন ১০৬ বছরের হোয়াং ওড ওগ্গে (Whang-Od” Oggay)