অরূপ ঘোষ, ১৪ মার্চঃ  সে একটা সময় ছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর ব্যাগ রেখেই দৌড়ে মাঠে খেলতে চলে যাওয়া। ধুলো, জল কাদায় লুটোপুটি করে সন্ধ্যেবেলায় ঘরে ফেরা। এখন তো আর মাঠেই দেখা যায়না শহর ও শহরতলি এলাকায়। তার ওপর হাইটেক যুগ, মোবাইলের দৌরাত্ম্য। মোবাইলে বাহারো গেম।  আজকালকার  কচি কাঁচার যে ঘরেই মত্ত। আগে পড়াশুনা ফেলে খেলতে গেলে বাড়িতে ফিরেই দিল অবধারিত বকুনি। আর এখন বহু বাচ্চাকে ঠেলেও বাইরে খেলতে পাঠানো যায় না।

আর এর কুপ্রভাব পড়ছে বাচ্চাদের শরীরে, মনে। তাদের শরীর গঠনই হচ্ছে না। শারীরিক ক্ষমতার অভাব থেকে যাচ্ছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও থেকে যাচ্ছে ঘাটতি। শিশু কিশোর যুবকদের ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেকর  স্বেচছা বন্দীদশা থেকে বের করে আনতে এক উদ্যোগ দেখা গেল ঝাড়গ্রামে।

আজ এই উদ্যোগ নিয়েছে ঝাড়গ্রামের দেবী জিমন্যাসিয়াম। যে  উদ্যোগের মূল কান্ডারী কালিপ্রসাদ রায়। যিনি বডিবিল্ডিং-এ খ্রিস্টান ইন্ডিয়া-র পাশাপাশি একাধিক খ্রিস্টান বেঙ্গল খেতাব পেয়েছিলেন। ঝাড়গ্রাম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর মূলত এই তিন জেলা মিলিয়ে জেলা ভিত্তিক বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতার আয়োজন হলে এঁদেরই উদ্যোগে। একাধিক বিভাগে ভাগ করা দিল এই প্রতিযোগিতার। প্রতিটি বিভাগে সেরা তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর্থিক পুরষ্কারের পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট।

এইরকম প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পেরে খুশি প্রতিযোগীরাও।এই অঞ্চলে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে দীর্ঘদিন পর। তাই প্রতিযোগীদের উৎসাহের অন্ত নেই। প্রতিযোগিতা কিন্তু সফল তার দারুন পারফরমেন্স। প্রতিযোগীদের পারফরমেন্সর পাশাপশি দর্শকদের পারফরমেন্স। প্রচুর সংখ্যক দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। কিশোর ও যুবকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। তারা সফলেই প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিয়ে ছিলেন সারাক্ষণ। হ্যাঁ দর্শকদের সিংহভাগই ছিলেন কিশোর ও যুবক। তারা কিন্তু  বাড়িতে বসে মোবাইল গেম খেলার নেশা তাকে তুলে রেখেই হাজির হয়েছিলেন মাঠে।

উদ্যোক্তা ক্রীড়া সংগঠনের আরেক প্রতিনিধি অসীম কুমার সিনহা। তাঁর মতে, এখনও এক শ্রেণীর অভিভাবক আছেন,  যারা চান তাদের সন্তানরা অতিরিক্ত মোবাইল নির্ভরতা ছেড়ে একটু ঘরের বাইরে বেরোক, খেলাধুলো করুক।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর