ইভিএম নিউজ,৬ মার্চঃ দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত উৎসব। রাত পোহালেই শুরু হবে রঙে মেতে ওঠার পালা। ছোট থেকে বড় সকলেই রঙের স্রোতে গা ভাসাবে। তবে সমস্যা একটাই এই খুশির আমেজের মধ্যে কোথাও যেন লুকিয়ে আছে বিপদ। রঙে মেতে ওঠার পর পরই শুরু হয় ত্বকের সমস্যা। শুধু যে ত্বক তা নয় চোখ অথবা পেটেরও সমস্যা দেখা যায়। কারণ বাজারজাত রঙে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। এর ফলে আমাদের ত্বক এবং চখে বা সেই রঙ পেটে গেলে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তবে ভেষজ রঙও বাজারে পাওয়া যায়। তার দাম অন্যান্য রঙের থেকে বেশি। তাই অনেকেই কিনে উঠতে পারেন না। আর তাই এই সমস্ত ঝামেলা থেকে বাঁচতে বিকল্প হিসাবে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ভেষজ রঙ। কিভাবে বানাবেন এই রঙ? চলুন পদ্ধতিগুলি দেখে নেওয়া যাক।
১] হলুদ- রান্নায় ব্যবহৃত গুঁড়ো হলুদ ১০০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে নিন তার সঙ্গে ১৫০ গ্রাম বেসন মিশিয়ে তৈরি করে নিন হলুদ রঙ। আর তরল হলুদ রঙ তৈরি করতে লাগবে শুকনো গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি। এটি গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হলুদ রঙ।
২] কমলা- কমলা রঙ তৈরি করতে পলাশের পাঁপড়ি লাগবে। ওই পাঁপড়ি গুলোকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে শুকিয়ে গেলে গুড়ো করে নিন, তাহলেই তৈরি আপনার কমলা রঙ। আর এই পাঁপড়ির সঙ্গে একটু হেনা মিশিয়ে জলে ফুটিয়ে নিলেই তরল কমলা রঙ তৈরি হয়ে যাবে, যা সম্পূর্ণ জৈব।
৩] লাল- দোলের দিনে লাল থাকবে না তাই কখনও হয়! লাল রঙ বানানোর জন্য লাগবে লাল চন্দন এবং জবা ফুলের পাঁপড়ি। এই লাল চন্দনের সঙ্গে জবা ফুলের পাঁপড়িকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। আর তাতেই তৈরি সবার প্রিয় লাল আবির। আর লাল তরল রঙ তৈরি করতে লাগবে বিটের রস আর চুন। বিটের রসের সঙ্গে চুন মিশিয়ে স্বল্প আঁচে গরম করে নিতে হবে। তাতেই তৈরি ভেষজ লাল রঙ।
৪] গোলাপি- গোলাপির রঙের চাহিদা বাজারে তুঙ্গে থাকে। আর তাই চটপট এই রঙ বানাতে বিটের রস আর পিঁয়াজের খোসা মিশিয়ে বানিয়ে নিন গোলাপি রঙ।