ইভিএম নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ পুরী তথা ওড়িশা বহু মানুষই বিশ্বাস করেন যে একদিন পুরীর বর্তমান জগন্নাথ মন্দির পরিত্যক্ত হবে। জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রার মূর্তি সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে ওই মন্দির থেকে। কথিত আছে, ৪০০ বছর আগে এক সন্ন্যাসী এই ভবিষ্যৎ বানী করে ছিলেন । সেই ভবিষ্যৎ বানী আদৌও কোনদিন সত্যি হবে কি না জানা নেই কারোরই। কিন্তু গত কিছু বছরে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যাতে অশনি সংকেত দেখছেন পুরীর পান্ডা ও সেবায়েতরা।
কয়েক বছর আগে পুরীর মন্দিরে জল নিকাশি ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছিল বড় গলদ। আর এবারে তিন দফায় সংস্কারের কাজ চালানোর পরও ফাটল দেখা দিল পুরীর নাটমন্দিরে। মন্দির সংস্কারের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠলো ভারতীয় পুরাত্তত্ব সর্ববেক্ষণ বা এএসআই এর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে, তিন দফায় সংস্কারের পরেও কেন আবারও ফাটল ধরল পুরীর জগ্ননাথ মন্দিরে ? আদালতে আরটিআই করে বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন হেমন্তকুমার পান্ডা। গত সাত বছরে তিন দফায় পুরীর জগ্ননাথ মন্দিরের সংস্কার করেছে এএসআই। ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবর্ষে সংস্কার হওয়ার পরেও কেন আবারও দেখা গেল ফাটল? এই নিয়েই অভিযোগ করেন হেমন্তকুমার। খবরটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই আশঙ্কায় কাঁপছে পুণ্যার্থীরা ।
এই প্রসঙ্গে মন্দিরের সেবায়েতের একাংশ দাবি করেন, হাজার হাজার বছর পুরনো এই মন্দিরের নাটমন্দির-এ লোক দেখানো সংস্কার করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার সময়ও অভিযোগ উঠেছিল সংস্কারের কাজ ঠিক মতো না হওয়ার। সেই সময় ওডিশা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এএসআই এর ডিরেক্টর জেনারেলকে ২০১৯ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ওডিশা হাইকোর্ট।
এদিকে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সূত্রে খবর, চলতি বছরে এপ্রিলের মধ্যেই বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। তাদের মতে প্রভুর মন্দিরে ফাটল ধরেছে ঠিকই তবে তা বিপদজন্নক নয় ।