জাহাঙ্গীর বাদশা, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে ফের নাম জড়ালো, তৃণমূল বিধায়কের। এবার দুর্নীতির দায়ে কাঠগড়ায় নন্দকুমার বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দকুমার বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন্দদুলাল বাগ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে। আর এই কাজে রাজ দুলাল মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে মিডিলম্যান হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে, ওই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কিন্তু টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
এদিকে বিধায়কের বিরুদ্ধে যখন ফের চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে জেলা জুড়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে, ঠিক একইসময় নন্দকুমার বিধানসভা এলাকারই অন্য এক নেত্রীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনেছেন, তৃণমূলেরই অন্য একটি সংগঠনের মহিলা নেত্রী। স্থানীয় সহায়ক দলের নেত্রী রেনুকা ভূঁইয়ার অভিযোগ, দলীয় অফিসে ডেকে তাঁর ওপর চরম নির্যাতন চালিয়েছেন, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেত্রী শিবানী দে কুণ্ডু। আর সেই কাজে তাঁকে মদত দিয়েছেন নন্দকুমারী তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে এবং সেখানকার ব্লক সভাপতি শিবশংকর বেরা।
একদিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানো, অন্যদিকে দলেরই এক নীচুতলার নেত্রী ওপর নির্যাতনের মদত। অভিযোগের এই জোড়াফলায় খোদ এক তৃণমূল বিধায়কের বিদ্ধ হওয়ার ঘটনা যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে, জেলায় শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কে পড়বে, তেমন টাই মনে করছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।