wb state eci cisf security

ব্যুরো নিউজ, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ : গত শনিবার থেকেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CISF)। এতদিন এই দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ থাকলেও, এবার থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই দফতরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হবে।

  • প্রবেশে কড়াকড়ি: কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার জন্যই নতুন ডিজিটাল পাস তৈরি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ দফতরে ঢুকতে পারবেন না।

  • সংবাদমাধ্যমের ওপর রাশ: সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের গতিবিধিও এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে থাকবে।

  • কর্মীদের অগ্রাধিকার: কেন্দ্রীয় বাহিনীই ঠিক করবে কাদের জন্য প্রবেশে অগ্রাধিকার থাকবে এবং কার গতিবিধি কতটা হবে।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের জন্য ‘ওয়াই প্লাস’ সুরক্ষা

কেবল দফতর নয়, খোদ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকেও ‘ওয়াই প্লাস’ (Y+) ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তাঁর বাড়ি থেকে বেরোনো, দফতরে আসা এবং বাড়ির প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এমনকি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে তিনি রাজ্যের যেখানেই যাবেন, এই প্রতিনিধি দল তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকবে। সাধারণত এই স্তরের নিরাপত্তায় ৮ থেকে ১১ জন জওয়ান এবং কমান্ডো থাকেন।

WB ECI SIR : মগরাহাটে নিগৃহীত আইএএস সি মুরুগান : “কাউকেই ভয় পাই না, কাজ করেই ছাড়ব”, গাড়ি ভাঙচুরের পর পাল্টা হুঙ্কার পর্যবেক্ষকের।

কেন এই কড়া সিদ্ধান্ত?

সম্প্রতি সিইও দফতরে ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) সংক্রান্ত কাজ নিয়ে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) একাংশের আন্দোলনে এক চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েন এবং আধিকারিকদের ঘিরে ধরেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দিল্লির নির্বাচন কমিশন ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং কলকাতা পুলিশের নগরপালের কাছে কৈফিয়ত তলব করে। এরপরই আধিকারিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগানের গাড়ি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করেছে।

WB ECI SIR : সিস্টেমের ভুলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা! ২০০২-এর তালিকার সঙ্গে মিল থাকলে আর ডাকবে না কমিশন

২০২৬-এর আগে বড় বার্তা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিইও দফতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সুরক্ষা এবং কাজের পরিবেশে কোনও আপস করা হবে না। যদিও সিইও মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, কড়াকড়ি বাড়লেও কাজে আসা সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর