ইভিএম নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারিঃ ভয়ঙ্কর করোনার প্রকোপ থেকে আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। সমস্ত জগত এই মহামারি থেকে বেরিয়ে এলেও করোনার সেই ভয়ঙ্কর আতঙ্ক থেকে বেরোতে পারেননি মুনমুন মাঝি। সেই যে ২০২০-র করোনা কালে নিজের ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেছেন তা গতকাল পর্যন্তও খোলেননি। অবশেষে পুলিশের সহায়তায় তিন বছর পর সূর্যের আলো দেখল মা ছেলে।

চক্করপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মুনমুন মাঝি এবং তাঁর স্বামী সুজন। করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ঘর বন্দী হয়েছিলেন নিজের সন্তান এবং স্বামীকে নিয়ে। তিন বছর কেটে গিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে থাকে পরিস্থিতি। মুনমুনের স্বামীরও ওয়ার্ক ফ্রম হোম থেকে আবার আগের পদ্ধতিতেই ফিরে আসে অফিস। কিন্তু মুনমুন দেবীর জেদের কাছে ব্যর্থ স্বামী সুজন। তিনি কিছুতেই বাইরের কাউকে ঘরে ঢুকতে দেবেন না এবং বাইরেও যাবেন না। ফলে প্রথমদিন সুজন অফিসে গেলে বাড়িতে আর ঢুকতে পারেননি তিনি। অন্যত্র বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

সুজন বলেন, বারংবার তাঁর স্ত্রীকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সুজনের শ্বশুর-শাশুড়িকে দিয়েও মুনমুনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, তাতেও কোনও লাভেরলাভ কিছু হয়নি। সমস্ত চেষ্টার শেষে পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে পুলিশ এসে দরজা খুললে তিন বছর পর ছেলেকে নিয়ে সূর্যের আলো দেখেন মুনমুন।

চক্করপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর জানান, “আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, প্রথমে আমি ব্যাপারটিকে খুব একটা গুরত্ব দিইনি। কিন্তু যখন বুঝলাম যে, সুজন সত্যিই বিচিত্র এক সমস্যায় পড়েছে, আমি সমস্ত সহায়তা করি। সুজন আমাকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলিয়ে দেয়। বার বার কথা বলতে বলতে মুনমুনকে বোঝানো সম্ভব হয়। ওদের ছোট সন্তানের সঙ্গেও কথা হয়। সে কত দিন সূর্যের আলো দেখেনি’’।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর