indigo airlines downtime

ব্যুরো নিউজ, ০৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ : ভারতের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো (IndiGo)-তে বড়সড় অপারেশনাল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক দিনে ৫৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে সংস্থাটি, যা বিগত ২০ বছরে ইন্ডিগো’র একদিনে বাতিল হওয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্লাইট। এর ফলে হাজার হাজার যাত্রীর ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বাতিল হওয়ার পর বিমানের টিকিটের দাম ৩০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

 

প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে বাতিলের সংখ্যা

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে ইন্ডিগোর বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল উদ্বেগজনক:

  • নয়া দিল্লি (IGI): ১৭১টি ফ্লাইট বাতিল।

  • মুম্বই: ১১৮টি ফ্লাইট বাতিল।

  • বেঙ্গালুরু: ১০০টি ফ্লাইট বাতিল।

  • হায়দ্রাবাদ: ৭৫টি ফ্লাইট বাতিল।

  • কলকাতা: ৩৫টি ফ্লাইট বাতিল।

  • চেন্নাই: ২৬টি ফ্লাইট বাতিল।

  • গোয়া: ১১টি ফ্লাইট বাতিল।

Putin India visit : পুতিনের ‘দুর্গ’ ভাঙল বন্ধুত্বের কারণে! মোদির সঙ্গে ‘সাধারণ’ টয়োটা ফরচুনারে যাত্রা !

CEO-র ক্ষমা এবং কারণ ব্যাখ্যা

বিপর্যয়ের জেরে ইন্ডিগো-র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) পিটার এলবার্স যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে সংস্থা এই “কয়েক দিন ধরে সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।”

বিপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি বিভিন্ন অপারেশনাল চ্যালেঞ্জের সম্মিলিত ফল:

  • অল্প প্রযুক্তিগত ত্রুটি (minor technology glitches)।

  • সময়সূচির পরিবর্তন (schedule changes)।

  • প্রতিকূল আবহাওয়া (adverse weather conditions)।

  • বিমান চলাচল ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক ভিড় (heightened congestion)।

  • এবং নতুন করে জারি হওয়া ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL) নিয়মাবলী কার্যকর করা।

এই সমস্ত কারণ মিলে পরিস্থিতিকে ‘ক্যাসকেডিং ইমপ্যাক্ট’-এর দিকে ঠেলে দিয়েছে।

Tejas Fighter Crash : ” যে ভাই আর ফিরল না …” আকাশেই শোক প্রকাশ রুশ বৈমানিকদের , শোকস্তব্ধ মার্কিন বায়ুসেনা বাতিল করল নিজেদের প্রদর্শনী ; দুবাইতে ভারতীয় আকাশযোদ্ধার প্রয়াণে মর্মাহত সহ যোদ্ধারা !

DGCA-কে রিপোর্ট ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ইন্ডিগো পরিস্থিতি সম্পর্কে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-কে অবহিত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। একই সঙ্গে, ইন্ডিগো এ৩২০ (A320) বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে FDTL প্রয়োজনীয়তা থেকে সাময়িক শিথিলতার জন্য DGCA-এর কাছে আবেদন করেছে।

DGCA জানিয়েছে তারা শিথিলতার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। তবে, পরিদর্শনের সময় DGCA দল লক্ষ করেছে যে, “বিপর্যয়-জনিত ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ইন্ডিগো’র যাত্রী হ্যান্ডলিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী ছিল না।”

এদিকে, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। ইন্ডিগোর এই পরিস্থিতি সামলানোর ধরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বিমান সংস্থাকে ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI) এবং DGCA-কে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিমানবন্দর পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আটকে পড়া যাত্রীদের সব রকম সহায়তা করা হয়।

অন-টাইম পারফরম্যান্স (OTP)-এর পতন

এই ব্যাপক বিপর্যয়ের কারণে ৩ ডিসেম্বরে ইন্ডিগোর অন-টাইম পারফরম্যান্স (OTP) কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৯.৭ শতাংশে। CEO এলবার্স কর্মীদের কাছে পাঠানো বার্তায় দ্রুত কার্যক্রম স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনাকে ‘তাৎক্ষণিক লক্ষ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর