ব্যুরো নিউজ ০৮ অক্টোবর ২০২৫ : ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিথ স্টারমার তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম ভারত সফরে মুম্বাইয়ে এসে পৌঁছেছেন। এই সফরটি ইংল্যান্ডের পাঠানো এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য মিশন হিসেবে চিহ্নিত। প্রায় ১৩০ জন শীর্ষ ব্রিটিশ সিইও এবং প্রবীণ সরকারি মন্ত্রী এই প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে স্টারমারের সঙ্গে এসেছেন।
ককপিট থেকে যাত্রীদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন থেকে মুম্বাইগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৯১০০-এর সহযাত্রীদের অপ্রত্যাশিতভাবে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। তিনি সরাসরি ককপিট থেকে ইন্টারকমের মাধ্যমে যাত্রীদের উদ্দেশ্য করে একটি ঘোষণা করেন, যা শুনে যাত্রীরাও আনন্দিত হন।
স্টারমার হাসিমুখে যাত্রীদের স্বাগত জানান: “ককপিট থেকে প্রধানমন্ত্রী বলছি। মুম্বাইগামী বিএ ফ্লাইট ৯১০০-এ আপনাদের সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা। আপনাদের সকলকে বিমানে পেয়ে সত্যি দারুণ লাগছে। এটি ভারতের জন্য ইউকে-এর পাঠানো সর্ববৃহৎ বাণিজ্য মিশন, তাই আমি আপনাদের সাথে কাজ করার জন্য এবং নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে থাকা সমস্ত সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। আপনারা সবাই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছান। ভ্রমণ উপভোগ করুন, এবং উড়ান শেষে আমি আপনাদের আরও তথ্য দেব।”
পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই ঘোষণার একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন, যেখানে তিনি মিশন এবং যাত্রীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মুম্বাইয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রী কিথ স্টারমার বুধবার লন্ডন থেকে একটি বড় ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাঁকে সেখানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পাওয়ার এবং রাজ্যের রাজ্যপাল আচার্য্য দেবব্রত উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
ভারত-ইউকে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে জোরদার করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্টারমার বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে বৈঠক করবেন। তাঁরা সেখানে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণেও যোগ দেবেন।
রোডম্যাপ ২০৩৫ অনুযায়ী অংশীদারিত্ব জোরদার
তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্টারমার ‘ভিশন ২০৩৫’ রোডম্যাপ অনুসারে ভারত-ইংল্যান্ড ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির পর্যালোচনা করবেন। এই রোডম্যাপে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু ও শক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দুই নেতা ভারত-ইংল্যান্ড ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি দ্বারা সৃষ্ট সুযোগগুলি নিয়ে ব্যবসা ও শিল্প নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যা ভবিষ্যতের ভারত-ইংল্যান্ড অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও, তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারক ও উদ্ভাবকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।




















