ব্যুরো নিউজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : পুলওয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি বড় সাফল্য। ২২শে এপ্রিল পাহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় জড়িত লস্কর-ই-তৈবা (TRF)-এর একজন মূল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হামলায় বাইসারান উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিলেন।
এই গ্রেফতারের ফলে পাহেলগাম হামলার তদন্তে এক বড় সাফল্য এসেছে। ধৃত জঙ্গি স্থানীয় বাসিন্দা এবং জঙ্গিদের আশ্রয় ও রসদ সরবরাহে যুক্ত ছিল। ঘটনার পর থেকেই অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে স্থানীয়দের জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।
ধৃত জঙ্গির পরিচয়
ধৃত জঙ্গির নাম মোহাম্মদ ইউসুফ কাটারিয়া (Mohammad Yousuf Kataria)। তার বয়স ২৬ এবং সে কুলগাম জেলার বাসিন্দা। সূত্র অনুযায়ী, সে একজন অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করত। ‘অপারেশন মহাদেব’ চলাকালীন নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা সরঞ্জামের বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাটারিয়ার সহযোগীদের চিহ্নিত করতে এবং লস্কর-ই-তৈবা (TRF) নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে আরও তদন্ত চলছে। তারা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে দুর্বল করার জন্য অভিযান আরও জোরদার করার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। কাটারিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপারেশন মহাদেব
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য ‘অপারেশন মহাদেব’ একটি বড় সাফল্য। এই অভিযানের মাধ্যমে পাহেলগাম হামলায় জড়িত তিনজন লস্কর জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবা এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
এই অভিযানটি ২২শে মে শুরু হয়েছিল, যখন নিরাপত্তা বাহিনী শ্রীনগরের কাছে দাচিগামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে নজরদারি, এবং চীনের তৈরি ডিভাইসে এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ আটকের পর, ২৮শে জুলাই এই অভিযান চালানো হয়।
পাহেলগাম জঙ্গি হামলা
২৫শে এপ্রিল, ২০২৫-এ বাইসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। পরবর্তীতে, লস্কর-ই-তৈবা-এর একটি শাখা, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF), এই হামলার দায় স্বীকার করে। এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়, যার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানও পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করে। তিন দিনব্যাপী এই সংঘাত ১০ই মে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়।



















