আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। উৎসবের আগে দেশবাসীর জন্য বড় সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারের ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, নতুন জিএসটি কাঠামোর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয়ে। অর্থাৎ উৎসবের মরশুমে বাজারে কেনাকাটা হবে আরও সাশ্রয়ী, ফলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে দ্রব্য কিনতে পারবেন।
নতুন জিএসটি কাঠামোয় সাশ্রয়ের বড় ঘোষণা
সবচেয়ে বড় চমক, একাধিক খাবার এবার পড়ছে শূন্য শতাংশ জিএসটি হারের আওতায়। তালিকায় রয়েছে দুধ জাতীয় পণ্য যেমন ছানা ও পনির, যা সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের অন্যতম অঙ্গ। একইসঙ্গে প্যাকেটবন্দি পরোটা, ব্রেড এবং অন্যান্য ভারতীয় রুটির ক্ষেত্রেও জিএসটি মকুব করা হয়েছে। ফলে সকাল থেকে রাতের খাবারের টেবিলে যে সব খাদ্যপণ্য নিয়মিত থাকে, তার দাম পড়বে অনেকটাই কম। এছাড়াও ultra pasteurized milk, যা সাধারণত কনটেইনারে পাওয়া যায়, তার ক্ষেত্রেও কোনও জিএসটি প্রযোজ্য হবে না। কেবল খাবারই নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু জীবনরক্ষাকারী ওষুধ যেমন অ্যাগালসিডেস বিটা, ইমিগ্লুসেরেজ, ওনাসেমনোজিন অ্যাবেপারভোভেকের ক্ষেত্রেও শূন্য শতাংশ জিএসটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
Durga Puja : দুর্গা পুজোয় মেট্রোতেই স্বস্তি, ভিড় এড়িয়ে কলকাতার সেরা পুজাপরিক্রমা এক নিমেষে।
অক্টোবরের শুরুতেই দুর্গাপুজো, তার পরেই লক্ষ্মীপুজো ও দীপাবলি। উৎসবের মরশুমে কেনাকাটা ও ভোজনবিলাসের যে ঢল নামবে, তা ভেবেই জিএসটির এই কাঠামোগত পরিবর্তন নিঃসন্দেহে এক বড় সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এই সময়টা মানেই নতুন পোশাক, পছন্দের খাবার আর কেনাকাটার আনন্দ। তাই চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল কিংবা দেশীয় খাবারের তালিকায় বাড়তি স্বস্তি আনবে এই জিএসটি ছাড়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী রবিবারের ভাষণে বিশেষ জোর দিয়েছেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কেনার ওপর। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আজকের দিনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেকটাই দখল করেছে বিদেশি দ্রব্য। তাই উৎসবের মরশুমে দেশীয় শিল্প ও উৎপাদনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বেশি করে দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান তিনি।
উৎসবের আনন্দে এবার জিএসটি সংস্কারের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে যুক্ত করবে বাড়তি মাত্রা। সস্তা খাবার থেকে শুরু করে দেশীয় পণ্য কেনার উৎসাহ—সব মিলিয়ে পুজোর কেনাকাটার ঝলক এ বছর আরও উজ্জ্বল হতে চলেছে।