ব্যুরো নিউজ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দেশের তরুণ প্রজন্ম, তথা ‘জেন জি’ (Gen Z)-কে সংবিধান রক্ষার এবং ভোট চুরি বন্ধ করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র একটি সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ভোটদাতাদের নাম বেআইনিভাবে মুছে দিচ্ছে এবং নতুন নাম যোগ করছে। এই অভিযোগের পরপরই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং অনুরাগ ঠাকুর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
জেন জি কি ‘পরিবারের রাজনীতি’র বিরোধী?
রাহুল গান্ধী বলেন, “দেশের তরুণ সমাজ, দেশের ছাত্রছাত্রীরা, দেশের জেন জি সংবিধানকে রক্ষা করবে, গণতন্ত্রকে বাঁচাবে এবং ভোট চুরি বন্ধ করবে। আমি সবসময় তাদের পাশে থাকব।”
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের জবাবে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, “জেন জি পরিবারের রাজনীতির বিরুদ্ধে। নেহেরু, ইন্দিরা, রাজীব এবং সনিয়ার পর তারা কেন রাহুলকে সহ্য করবে? তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে – কেন তারা আপনাকে তাড়িয়ে দেবে না?” দুবে আরও সতর্ক করে বলেন যে যদি জেন জি-র রাগ বেড়ে যায়, তবে রাহুল গান্ধীর দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
‘ভোট চোরি’র ‘প্রমাণ’ পেশ রাহুলের, নির্বাচন কমিশনের পাল্টা জবাব
রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন যে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের নাম টার্গেট করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কর্ণাটকের আলান্দ কেন্দ্রের একটি কেস স্টাডি তুলে ধরেন। রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেন যে তিনি এই তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের অন্দরের কিছু কর্মীর সাহায্য পাচ্ছেন।
তবে, নির্বাচন কমিশন রাহুলের এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেয়। কমিশন জানায়, কোনো ভোটারের নাম জনগণের দ্বারা অনলাইন পদ্ধতিতে মুছে ফেলা সম্ভব নয় এবং প্রভাবিত ব্যক্তিকে না জানিয়ে কোনো নাম বাদ দেওয়া হয় না। নির্বাচন কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে রাহুলের অভিযোগকেও ভুল ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দেয়।
অনুরাগ ঠাকুরের আক্রমণ: রাহুল ‘গণতন্ত্রকে দুর্বল’ করছেন
রাহুল গান্ধীর অভিযোগের পর বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস প্রায় ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে। তার হতাশা দিন দিন বাড়ছে।” ঠাকুর আরও বলেন যে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করা রাহুলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে রাহুল গান্ধী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্ন করে ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, রাহুল হাইড্রোজেন বোমা ফেলার কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত শুধু ‘পটকা’ই ফাটালেন।



















