মাধব দেবনাথ, ইভিএম নিউজ, নদীয়াঃ জমি নিয়ে বিবাদের সময় জমি বিবাদের জেরে প্রতিবেশী যুবতীকে বেধড়ক মারধর করল এক শিক্ষক। শিক্ষকের মারের চোটে মাথা ফেটে গেল, প্রতিবেশী ওই যুবতীর। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর নীলকুঠি এলাকায় রবিবারের এই ঘটনার পরেই, বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ওই শিক্ষক। ঘটনার বিচার চেয়ে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবতী ও তাঁর পরিবার।
এলাকাসূত্রে খবর, হরিপুর নীলকুঠি এলাকার বাসিন্দা শম্ভু হালদারের জমির দু’ ফুট এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই দখল করে রেখেছেন, পেশায় শিক্ষক এক প্রতিবেশী। এমনকী, জমির মালিক শম্ভু হালদারের অনুমতি না নিয়ে, জোর করে তাঁর জমিতেই একটি পিলার পুঁতেছিলেন ওই শিক্ষক। বারবার বলার পরেও সেই পিলার খুলে না নেওয়ায় শম্ভু হাল এবং ওই শিক্ষকের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। সুমিত্রা হালদার নামে আক্রান্ত ওই
যুবতী ও তাঁর পরিবারের দাবি, এদিন আবারও সেই জমিবিবাদ শুরু হলে, আচমকাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে, শম্ভু হালদারের মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ওই শিক্ষক। প্রতিবাদ করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেসময় বাড়িতে না-থাকলেও, ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে আসেন সুমিত্রার বাবা শম্ভু হালদার। মেয়েকে নিয়ে শান্তিপুর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর, সেখান থেকেই শম্ভু ও তাঁর মেয়ে শান্তিপুর থানায় গিয়ে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনা বেগতিক হয়েছে বুঝে, বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।