ব্যুরো নিউজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : গত ৯ই অগাস্ট, নবান্ন অভিযানের সময় আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মায়ের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগের তদন্ত করতে কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মাকে একজন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) পদমর্যাদার অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ও অসন্তোষ
বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ এই ঘটনাটিকে “সংবেদনশীল” এবং “ন্যায়বিচারের স্বার্থে” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, একটি বেসরকারি হাসপাতালের জমা দেওয়া মেডিকেল রিপোর্টে নির্যাতিতার মায়ের কপালে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। বিচারপতি নিউ মার্কেট এবং শেক্সপিয়র সরণি থানার জমা দেওয়া রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বিষয়টির আরও তদন্ত করা প্রয়োজন।”
তদন্তের নির্দেশ
বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তদন্তকারী অফিসারকে ৯ই আগস্টের হামলার পর নির্যাতিতার মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বেসরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, “প্রয়োজন হলে, তাকে (তদন্তকারী) একটি এফআইআর দায়ের করতে হবে। তিনি এও খতিয়ে দেখবেন যে এই ঘটনায় কোনো দণ্ডনীয় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না। যদি এমন কিছু না ঘটে থাকে, তাহলে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
Nabanna Avijaan : নবান্ন অভিযান ঘিরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ, ৭টি এফআইআর দায়ের
অভিযোগ ও পূর্বের ঘটনা
গত মাসের ৯ই আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নবান্ন অভিযানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সময় নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন যে, স্বামী ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশ তাকে মারধর করে। ঘটনার কয়েকদিন পর নির্যাতিতার বাবা শেক্সপিয়র সরণি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে না পারার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন।
যদিও ১২ই আগস্ট কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল যে, নবান্ন অভিযানের সময় আরজি কর নির্যাতিতার মাকে পুলিশ মারধর করেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট তলব করেছিল।