ব্যুরো নিউজ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫: সোমবার ভোর থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গের তিনটি স্থানে বালি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে সমান্তরাল ও ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। রাজ্যে বালি পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে এটিই ইডি-র প্রথম অভিযান। প্রতিটি ইডি দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর (CAPF) সদস্যরা রয়েছেন।
যেসব এলাকায় তল্লাশি চলছে
কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তারা সোমবার ভোর থেকে কলকাতা সংলগ্ন বেহালার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এবং নদিয়া জেলার কল্যাণীর মতো তিনটি ভিন্ন স্থানে একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন।
- ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জাহিরুল আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ব্যক্তি সরাসরি বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শেখ আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন চুক্তিবদ্ধ গ্রাম পুলিশ ছিলেন, পরে সেই চাকরি ছেড়ে তিনি নিজের বালি ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর বাড়ি সুবর্ণরেখা নদীর খুব কাছে, যেখান থেকে বালি পাচারের ঘটনা ঘটত।SSC Recruitment scam : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়াল তৃণমূলের আরেক মন্ত্রীর নাম , রাজ্যপাল দিলেন তদন্তের অনুমোদন
- বেহালা: বেহালায় জি.ডি. মাইনিং নামের একটি সংস্থার অফিসে তল্লাশি অভিযান চলছে, যে প্রতিষ্ঠানটিও বালি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জানা গেছে, সল্ট লেকের সেক্টর-ভি-তেও তাদের একটি অফিস রয়েছে এবং ইডি কর্মকর্তারা সেখানেও তল্লাশি চালাতে পারেন।
- কল্যাণী: নদিয়া জেলার কল্যাণীর সমান্তরাল তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আর্থিক দুর্নীতি ও পদ্ধতি
ইডি-র অনুমান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে পরিচালিত বালি পাচার চক্রে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি জড়িত। সূত্রমতে, সুবর্ণরেখা নদীর বালির বিপুল চাহিদার কারণে সরকারি দরের থেকে দ্বিগুণ দামে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো। পাচারকারীরা প্রায়শই রাজ্য সরকারের দেওয়া বালি উত্তোলনের অনুমতিপত্র জাল করে অবৈধভাবে এই কাজ চালিয়ে যায়।