ব্যুরো নিউজ ৪ আগস্ট ২০২৫ : পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিপাত এবং খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ শৃঙ্খলে মন্দার কারণে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও জেলা শহরে সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের পকেটে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই জিনিসগুলি এখন সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
কলকাতার বাজারে সবজির বর্ধিত মূল্য
কলকাতার বাজারগুলিতে সবজির দামে এক বিশাল উল্লম্ফন দেখা গেছে। মাত্র কয়েকদিন আগেও যে ফুলকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পটলের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে কমপক্ষে ৫০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। বড় আকারের বেগুন ৬০ টাকা থেকে একলাফে ১০০ টাকা প্রতি কেজি ছুঁয়েছে।
অন্যান্য সবজির দামও সমানভাবে বেড়েছে:
- করলা: কিছুদিন আগে ৫০ টাকা/কেজি, এখন ৮০ টাকা/কেজি।
- ওলকপি: ৫০ টাকা/কেজি থেকে বেড়ে ৮০ টাকা/কেজি।
- শসা: ৮০ টাকা/কেজি।
- টমেটো: ৭০ টাকা/কেজি।
- ভেন্ডি: প্রায় ৮০ টাকা/কেজি।
- কাঁচালঙ্কা: ১০০ থেকে ১২০ টাকা/কেজি।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ: বৃষ্টি ও সরবরাহ ব্যাহত
কৃষক সংগঠন এবং পশ্চিমবঙ্গ টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছেন, যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
তবে, রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলায় দাবি করেছেন যে, দাম কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, “গত পরশু আমরা সবজির দাম পরিদর্শনে বাজারগুলিতে গিয়েছিলাম। যে দাম বেড়ে গিয়েছিল, তা কিছুটা কমেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে প্রচুর পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তাই সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে সবজির দাম বেড়েছে। তবে, এটি আরও কমানোর চেষ্টা চলছে।”
কলকাতা থেকে শুরু করে বাঁকুড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মতো জেলাগুলিতেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সবজি বিক্রেতারাও বলছেন যে, জেলার অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলেই এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। একজন বিক্রেতা জানান, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। একটানা বৃষ্টির কারণে সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম বাড়ছে।”
যোগী রাজ্যে রেকর্ড গম সংগ্রহ: রবি মরসুমে ১০.২৭ লাখ টনের বেশি, কৃষকদের ২৫০৮ কোটি টাকা প্রদান
নিন্ম মানের সেচ এবং জল নিকাশি নালার ব্যাবস্থার ফলে, বহু কৃষি জমি ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে এবং জল দাড়িয়ে গেছে – যার ফল , চাষের জমিতে দাঁড়িয়ে নষ্ট হয়েছে বহু আনাজ এবং সবজি – যার ফলে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া