ব্যুরো নিউজ ৭ জুলাই: শেফালির অকালমৃত্যু আর এক নতুন ভাবনার জন্ম দিল মধুবনীর মনে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী তাঁর সহজ-সরল মনখোলা বক্তব্যের জন্য অনুরাগীদের মধ্যে বরাবরই প্রশংসিত। সম্প্রতি বি-টাউনের অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার হৃদরোগে মৃত্যু তাকে ভিতরে ভিতরে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার পর নিজের উপলব্ধির কথা সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ভাগ করে নেন মধুবনী।
“আজ আমি আমার জীবনের কিছু উপলব্ধি তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব”
ভিডিয়োর শুরুতেই মধুবনী জানান, এই ভিডিওটি তার মন থেকে উঠে আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথার বহিঃপ্রকাশ। তিনি সরাসরি শেফালির নাম না নিলেও বলেন, “বলিউডের একজন অভিনেত্রী, যিনি একটা বিখ্যাত মিউজিক ভিডিও করেছিলেন, সম্প্রতি হৃদরোগে মারা গিয়েছেন। খুব কম বয়সে চলে গেলেন তিনি।”
শেফালির নাম না করে মধুবনী জানান, তিনি যা শুনেছেন তাতে জানা যায়, ওই অভিনেত্রী মৃত্যুর দিন অনেকক্ষণ খালি পেটে ছিলেন। এমনকি তিনি খালি পেটে ওষুধও খেয়েছিলেন, যার ফলে ব্লাড প্রেশার হঠাৎ করে খুব কমে যায়। এই প্রসঙ্গে মধুবনী বলেন, “বাকিটা আমরা জানি…।” তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট — স্বাস্থ্য সচেতনতায় বেখেয়ালি পদক্ষেপ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মধুবনী বলেন, “মাঝে আমি ভাবলাম আমি ডায়েট করব। তখন ঠিক করেছিলাম ভাত, রুটি খাব না। কারণ আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি ভাত-মিষ্টি খেলেই মোটা হয়ে যাব।” কিন্তু এখন অনেক চিকিৎসক বলছেন, শুধুমাত্র প্রোটিননির্ভর খাবার খেয়ে ভাত-রুটি বাদ দেওয়া এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা। এই খাদ্যাভ্যাস থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে বলেই মত তাঁদের।
মধুবনী স্পষ্ট জানান,সব কিছুই খাব, কিন্তু পরিমিতভাবে।তিনি আর কোনও খাবারকে বাদ দেবেন না। ভাত, রুটি, প্রোটিন— সবকিছুই পরিমাণ মেনে খাবেন। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক নিয়মে যেভাবে রোগা হওয়া উচিত, সেই ভাবেই হব। শুধুমাত্র খাওয়া কমিয়ে নয়, ব্যালান্সড ডায়েট ও শরীরচর্চা দিয়েই নিজেকে ফিট রাখব।
সবশেষে মধুবনী বলেন, “এক সময় আমিও ভাত-রুটি ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বুঝি, জীবন সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ। যদি জীবনটাই না থাকে, তবে রোগা হয়ে কী হবে? জীবন থাকলে তবেই আনন্দ উপভোগ করতে পারব। এবার থেকে শরীরচর্চাও আমার রুটিনে থাকবে।”
ভিডিওর ক্যাপশনে সাবধানবার্তা
এই ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে মধুবনী লেখেন — “একজন অভিনেত্রীর মৃত্যু হলো… খুব ভয় পাচ্ছি…” — যা তার মানসিক অবস্থাকে স্পষ্ট করে দেয়। ডায়েট, ফিটনেস বা সৌন্দর্য— সব কিছুর আগে রয়েছে জীবন ও সুস্থতা।