ব্যুরো নিউজ ৩ জুলাই: অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার রাঙ্গাম্পেটা মণ্ডলে অবস্থিত ডড্ডিগুন্টা গ্রামটি এক অদ্ভুত কারণে পরিচিত। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনসংখ্যার এই গ্রামে প্রবেশ করলেই আপনার চোখে পড়বে অসংখ্য যমজ শিশু। বিশ্বাস করতে হয়তো কষ্ট হবে, কিন্তু এই ছোট্ট গ্রামটিতে ১৩০ জনেরও বেশি যমজ রয়েছেন!
গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রচলিত একটি বিশ্বাস হলো, গ্রামের একটি বিশেষ কুয়োর জল পান করলেই নাকি যমজ সন্তান জন্ম নেয়। এই ধারণা এতটাই দৃঢ় যে, গ্রামের সরপঞ্চ আডাপা ভেঙ্কটেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের গ্রামে প্রায় ১১০ জোড়া যমজ রয়েছেন এবং তিনিও মনে করেন যে এর পেছনে কুয়োর জলেরই ভূমিকা আছে।
তবে, বৈজ্ঞানিকরা এই ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. পদ্মজা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে, যমজ সন্তান হওয়ার প্রধান কারণ হলো জিনগত। একই সময়ে একাধিক ডিম্বাণু নির্গত হলে যমজ সন্তান হতে পারে। কুয়োর জল পান করে যমজ সন্তান হওয়ার ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
যুক্তি যাই বলুক না কেন, ডড্ডিগুন্টা গ্রামটি তার অনন্য যমজ-সংখ্যার জন্য সত্যিই একটি কৌতূহলোদ্দীপক স্থান। এটি হয়তো প্রকৃতির এক রহস্যময় খেলা, যা গ্রামের মানুষকে একটি বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে।