ব্যুরো নিউজ ২৯ জুন: কসবার কলেজে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা—সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্য দলের মধ্যে বড় ধরনের অস্বস্তি তৈরি করেছে। এই ঘটনায় দল যেখানে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে, সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “সহপাঠী যদি সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করেন, নিরাপত্তা দেবে কে?” এবং মদন মিত্রের “মেয়েটি না গেলে কিছুই হতো না” মন্তব্যগুলো ভিকটিমকে দোষারোপ করার শামিল, যা জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য তৃণমূলের নারী সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রথযাত্রার গৌরবময় ইতিহাস: ভারতীয় সংস্কৃতির চাকা ঘোরে যেখান থেকে
এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় বিবৃতির পাশে দাঁড়িয়ে নাম না করে ওই দুই নেতাকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে আক্রমণ করেছেন। মহুয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, “নারীবিদ্বেষ দলের সীমায় আবদ্ধ নয়, তবে তৃণমূলের বিশেষত্ব হলো আমরা এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করি, তা সে যেই করুন না কেন।” মহুয়ার এই সাহসী অবস্থান আবারও দলের অভ্যন্তরে তাঁর দৃঢ় ভাবমূর্তি তুলে ধরেছে। এই ঘটনার সূত্র ধরে আবারও সামনে এসেছে অতীতে কল্যাণ ও মহুয়ার মধ্যে তীব্র সংঘাতের বিষয়টি, যা দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। উল্লেখ্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও মহুয়াকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেছিলেন, যা এই নতুন দ্বন্দ্বকে আরও গভীর করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ফের আগুন: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ ঘোষণা
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৃণমূলের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দলের একাংশ মনে করে, এই ধরনের বিতর্ক জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এর ফলে রাজনৈতিক বিপর্যয় আসতে পারে। তৃণমূল নেতৃত্ব এখন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তা দলের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ১ জুলাই পর্যন্ত রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে।