ব্যুরো নিউজ ১৯ জুন: সকালের স্বাস্থ্যকর রুটিনে যদি যোগ হয় আমলা, বিটরুট ও গাজরের জুস, তাহলে তা শরীরকে নতুন করে চাঙ্গা করতে পারে। এই তিনটি উপাদানই তাদের অসাধারণ পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। প্রতিদিন সকালে এই জুস পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তার একটি বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হলো।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। বিটরুট এবং গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য ভিটামিন শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
২. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সহায়ক: বিটরুট আয়রন এবং ফোলেটের একটি চমৎকার উৎস, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এই জুস পান করলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে এবং শরীরের দুর্বলতা দূর হয়।
৩. হজমশক্তির উন্নতি: এই জুসে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমলা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সহায়ক।
৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন (যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়) এবং আমলার কোলাজেন-বর্ধক গুণাগুণ ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ত্বকের জেল্লা বাড়ায়, দাগ-ছোপ কমাতে সাহায্য করে এবং অকালে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
৫. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি: গাজর ভিটামিন এ-এর একটি অন্যতম প্রধান উৎস, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। আমলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৬. শরীরকে ডিটক্সিফাই করে: বিটরুট এবং আমলা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক। এটি শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
৮. চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে: আমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে। বিটরুট ও গাজরে থাকা সিলিকা ও বায়োটিন চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জুস পান করলে এর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভালোভাবে শোষিত হয়। তবে যেকোনো নতুন খাদ্য অভ্যাস শুরু করার আগে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।