পশ্চিমবঙ্গে কলেজে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু: অবশেষে স্বস্তি পড়ুয়াদের

পোর্টালের সুবিধা ও লক্ষ্য

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই পোর্টালের মাধ্যমে ১৭টি সরকার-পোষিত অনুমোদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪৬০টি সরকারি এবং সরকার-পোষিত কলেজে ভর্তির আবেদন করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়েছে। এই অভিন্ন পোর্টাল চালু করার মূল লক্ষ্য হলো ভর্তি প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ রাখা এবং পড়ুয়াদের ভোগান্তি কমানো। এতদিন কলেজে কলেজে গিয়ে ফর্ম তোলা এবং লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দেওয়ার যে সমস্যা ছিল, তা এই পোর্টালের মাধ্যমে দূর হবে। স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আলাদা করে আবেদন করার প্রয়োজন হবে না। এর ফলে, বিভিন্ন কলেজের পোর্টাল রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যাও দূর হবে। শিক্ষা মহল মনে করছে, এই নয়া ব্যবস্থা সবকিছুকে আরও দ্রুত এবং আধুনিক করবে।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে

আবেদন প্রক্রিয়া বিস্তারিত

WBCAP 2025 পোর্টালে (ওয়েবসাইট: https://www.collegeadmission.in/page/wbcap-1) আবেদন করার ধাপগুলি নিম্নরূপ:

• রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে নিজস্ব তথ্য ব্যবহার করে পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
• ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রাপ্তি: রেজিস্ট্রেশনের পর আবেদনকারী একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাবেন, যা দিয়ে পোর্টালে লগইন করা যাবে।
• কলেজ ও বিষয় নির্বাচন: একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের ক্রমানুযায়ী সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পাবে।
• তালিকা পরিবর্তন: আবেদনের শেষ সময়সীমা পর্যন্ত পড়ুয়া তার পছন্দের কলেজ তালিকা এবং বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে।
• মেধা তালিকা প্রকাশ: আবেদন করার সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে সিস্টেম জেনারেটেড মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে।
• অনলাইন ভর্তি: পড়ুয়ারা তাদের মেধা এবং পছন্দের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ যে বিষয়টি পাবে, তাতে অনলাইনেই এই পোর্টালের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হতে পারবে।

  পাহালগাম হামলায় FATF-এর তীব্র নিন্দা: ‘ অর্থায়ন ছাড়া এইরুপ সন্ত্রাস সম্ভব নয় ‘

সময়সীমা ও পরবর্তী ধাপ

প্রথম পর্বে আবেদন করার সময়সীমা ১ জুলাই পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। প্রথম দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কলেজগুলিতে যদি কোনো আসন ফাঁকা থাকে, তবে পড়ুয়ারা পুনরায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে, যদি আগেরবার ভর্তির জন্য টাকা জমা দেওয়া থাকে, তবে আর নতুন করে টাকা দিতে হবে না। প্রতিটি প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে পড়ুয়াদের SMS বা ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়াও, পোর্টালের ড্যাশবোর্ডে সমস্ত তথ্যের রিয়েল টাইম আপডেট পাওয়া যাবে।

এই কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু হওয়ায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের কলেজে ভর্তির দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর হলো। এটি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।