ব্যুরো নিউজ ১১ জুন: রাজ্য রাজনীতিতে আবারও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের নতুন অধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য বিধানসভা চত্বরে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বিতর্ক। মামলায় শুভেন্দু দাবি করেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি বিধানসভা চত্বরে কার্যত ‘নিরাপত্তাহীন’ অবস্থায় প্রবেশ করছেন, যা তাঁর জীবন এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পক্ষে বড়সড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কি রাজ্য সরকার নিরাপত্তার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করছে?
২০২০ সালে দলবদলের পর রাজ্য সরকার তার তৎকালীন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার শুভেন্দুকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান করে। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য বিধানসভার চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে না। এরপরই বিরোধী দলনেতা এই বিষয়ে আইনি রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চায়, বিধানসভার মতো নিরাপদ এলাকায় কেন নিরাপত্তা দরকার? আদৌ কি কোনও হুমকির তথ্য রয়েছে? মামলার পরবর্তী শুনানিতে শুভেন্দুর পক্ষকে এই যুক্তিগুলি বিস্তারিতভাবে আদালতের সামনে পেশ করতে বলা হয়েছে।
কলকাতা দূতাবাসে কোরবানির অনুমতি না দেওয়ায় বাংলাদেশি কূটনীতিককে শাস্তি দিল ইউনূস সরকার
এই ঘটনার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তৃণমূল শিবিরের একাংশের মতে, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক নাটক। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা বলছেন, একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা রাজ্যের দায়িত্ব, সেটা যদি রাজ্য না করে তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।
শুভেন্দুর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে স্পষ্ট হুমকি সম্পর্কিত ইনপুট থাকলেও বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশাধিকার না থাকাটা তার জীবন ও নিরাপত্তার সঙ্গে আপস।
ওয়াটগঞ্জে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যু-রহস্য ঘিরে চাঞ্চল্য
এখন দেখার বিষয়, আগামী শুনানিতে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কী যুক্তি দেয়। একদিকে সাংবিধানিক মর্যাদা, অন্যদিকে নিরাপত্তা – এই দ্বন্দ্বে এবার আদালতের রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।