murshidabad voilance

ব্যুরো নিউজ ১১ জুন: মুর্শিদাবাদ হিংসা (Murshidabad Violence) নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ফের উত্তাল বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে বারবার ‘বহিরাগতদের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে এসেছেন, সেই তত্ত্ব এবার ভেঙে চুরমার করল তাঁরই সরকারের পুলিশের চার্জশিট। সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ করল পুলিশ, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ১৩ জন অভিযুক্তই সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। অর্থাৎ, মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব কার্যত ভুয়া প্রমাণিত।

মমতার তত্ত্বে ফাটল ধরাল পুলিশ

চার্জশিটে উঠে এসেছে, দিলদার নাদাব, আসমাউল নাদাব, জিয়াউল হক, ইনজামুল হক, ফকরুল হক, মনিরুল শেখ সহ ১৩ জনের নাম, যাদের প্রত্যেকের ঠিকানাই স্থানীয়। পুলিশের দাবি, তদন্তে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যা বহিরাগতদের সংশ্লিষ্টতা দেখায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ও পুলিশের চার্জশিটে সাংঘর্ষিক তথ্য উঠে এসেছে, যার জেরে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে—যদি অভিযুক্ত সবাই স্থানীয় হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কীসের ভিত্তিতে বহিরাগত তত্ত্বের কথা বলেছিলেন?

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে প্রাণে মেরে ফেলার ধমকি

এই বিভ্রান্তিকর অবস্থানে রাজনৈতিক তরজা তীব্র হয়েছে।মমতার দাবি খারিজ! মুর্শিদাবাদ হিংসায় অভিযুক্ত সবাই স্থানীয়—এটি কি তাহলে অপরাধকে রাজনৈতিক মোড় দেওয়ার চেষ্টা ছিল? তৃণমূল মুখে আইন-শৃঙ্খলার কথা বললেও পুলিশের চার্জশিটই যেন সেই ভাষ্য খারিজ করে দিয়েছে।

এই বিতর্কের পর সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ এবং প্রশ্ন বাড়ছে। মুর্শিদাবাদ হিংসা কি আদৌ ছিল বহিরাগতদের পরিকল্পিত হামলা, নাকি এটি ছিল স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল?

প্রকাশ্যে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বিধবাকে মারধর ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘাটালে

এই ঘটনাটি রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন মোড় এনে দিল। মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করেছিলেন, তা যদি তাঁরই পুলিশ খণ্ডন করে, তবে প্রশাসনিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠতেই পারে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর