ব্যুরো নিউজ ২৬ মে : ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট হড়পা বানে , হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলায় রাস্তার পাশে পার্ক করা ২০টিরও বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্মন্দ মহকুমা শাসক মনমোহন সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। তিনি আরও যোগ করেন যে, ভারী বৃষ্টির কারণে শুষ্ক শরশয়া নালার (Sharshaya Nallah) জল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে নির্মন্দের জগতখানা সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০-২৫টি গাড়ি ভেসে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


সড়ক অবরোধ ও সতলুজ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি

এদিকে, হিন্দুস্তান-তিব্বত রোড, জাতীয় সড়ক-৫ (NH-5), রামপুর ও কিন্নরের মধ্যে ঝাকরি (Jhakri) এলাকায় পাহাড় থেকে ধস নামার কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্যা এবং ধ্বংসাবশেষে গাড়ি ভেসে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা পরিস্থিতি ভয়াবহতা তুলে ধরছে। সতলুজ নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত বাংলা? বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস


মেঘভাঙা বৃষ্টি বনাম অতিবৃষ্টি: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস

স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা মেঘভাঙা বৃষ্টির (cloudburst) কারণে ঘটেছে। তবে প্রশাসন এটিকে ভারী বৃষ্টির ফল বলেই উল্লেখ করেছে। স্থানীয় আবহাওয়া কেন্দ্র ২৭ ও ২৮ মে-র জন্য রাজ্যের সব ১২টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার জন্য ‘হলুদ’ সতর্কতা জারি করেছে।

২৫ এবং ২৬ মে-র জন্য যে জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলি হল:

  • সিরমাউর
  • সোলান
  • শিমলা
  • মান্ডি
  • কুলু
  • কাংড়া
  • চাম্বা

আগামী ৬ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া দফতর আগামী ছয় দিনের জন্য ভিজা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যদিও শনিবার আবহাওয়া বেশিরভাগই শুষ্ক ছিল। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে যে, ২৭ ও ২৮ মে উচ্চ পাহাড়ের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাত এবং মধ্য পাহাড় ও সমভূমিতে অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ মে উচ্চ পাহাড়ের বিচ্ছিন্ন স্থানে এবং মধ্য পাহাড় ও সমভূমির কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল।

বৃষ্টি নামবে শহরে, পারদ কমার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে


রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা

কুলুর পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলেও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রোহরু-তে ১০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, এরপর জুব্বারহাটিতে ২.৬ মিমি, জুব্বলে ২.৪ মিমি এবং চাম্বায় ২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রেকংপিও, তাবো, কোটখাই, বাহাউরা, সিওবাগ এবং নারকান্দায় ঘণ্টায় ৩৭ থেকে ৫৬ কিলোমিটার বেগের মধ্যে দমকা হাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে।

সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। উনায় রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, আর কেলংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়ার সতর্কতা হিমাচল প্রদেশের জনজীবনে আগামী দিনে আরও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর