nachiketa

ব্যুরো নিউজ ১৭ মে: বর্তমান বিশ্বে অশান্তির আবহে এক নতুন ভাবনায় কৃষ্ণকে সামনে আনলেন গায়ক-গীতিকার নচিকেতা চক্রবর্তী। তাঁর সাম্প্রতিক গান ‘কৃষ্ণ তোমার সঙ্গে যাব, চলার সোজা পথ হারাব কলকাতায়’ ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। তবে এই গানের কৃষ্ণ কোনও মূর্তিবন্দিত দেবতা নন, বরং এক জন গণতান্ত্রিক, কর্মযোগী, চাণক্যসুলভ নায়ক, যাঁকে আজকের সমাজে দরকার বলে মনে করেন শিল্পী।

ওয়াকফ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ মমতা!মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা “প্ররোচনা দেবেন না, শত্রু হয়ে যাব” দিল্লিতে আন্দোলনের পরামর্শ

গণতান্ত্রিক কৃষ্ণ, প্রেম নয় নেতৃত্বই মুখ্য

আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেন, “আমি কৃষ্ণ ভক্ত, তবে তাঁর পুজো করি না, উপোসও না। আমার কাছে গানই ধর্ম। কৃষ্ণকে আমি কর্মযোগী মানুষ হিসেবে দেখি। তাঁর কর্মকাণ্ডই তাঁকে ঈশ্বর বানিয়েছে, নানান অলৌকিক কাহিনি পরে যোগ হয়েছে, যেগুলো অনেকটা ব্রাহ্মণদের তৈরি।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?

এই নতুন গানে কৃষ্ণ হচ্ছেন এক প্রগতিশীল, যুক্তিবাদী নায়ক, যিনি আজকের পৃথিবীর সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব দেবেন। নচিকেতা বলেন, “কলকাতা এখানে প্রতীক। আমি এই শহরকে ভালোবাসি, ঘৃণা করি না। কিন্তু শহরের অন্ধকার দিকও চোখে পড়ে। তাই বলেছি, কৃষ্ণকে চাই কলকাতায়। যিনি আসবেন নেতৃত্ব দিতে, প্রেমের আখ্যান নয়, বরং পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাবাদী! কিভাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কেলক কলেজে বক্তৃতা অনুমতি দেওয়া হলো। জানতে চেয়ে প্রবাসীদের চিঠি মিচিকে

নচিকেতার মতে, এই কৃষ্ণ একজন আরণ্যক, যিনি হয়তো দক্ষিণপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঈশ্বর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর নিজস্ব রূপটা ছিল একদম ভিন্ন। “তিনি শ্রীচৈতন্যের মতো গণমানুষের প্রতিনিধি ছিলেন। এমন এক কৃষ্ণকেই চাই এখনকার সমাজে, যাঁর বাঁশিতে বাজবে না রাধার প্রেম, বরং শোনা যাবে লক্ষ মানুষের দীর্ঘশ্বাস,”— বলেন শিল্পী। এই গানের মাধ্যমে নচিকেতা কেবল একজন নতুন কৃষ্ণের কল্পনাই করেননি, বরং সমাজ, রাজনীতি ও মানবিক বোধের এক নতুন দিক তুলে ধরেছেন। তাঁর কণ্ঠে যেন ধ্বনিত হয়েছে এক মহামানবের আগমনের প্রত্যাশা, যিনি বিশ্বকে নতুন করে ভাবতে শেখাবেন। আরও এ রকম সমসাময়িক, গভীর বিষয় নিয়ে লেখা চাইলে জানাতে পারেন!

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর