ব্যুরো নিউজ, ৮ এপ্রিল: বৈশাখী উৎসব পাঞ্জাবি সংস্কৃতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা প্রতি বছর ১৩ এপ্রিল উদযাপিত হয়। এটি পাঞ্জাবির ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। বৈশাখী মূলত একটি কৃষি উৎসব, তবে এটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাঞ্জাবে বৈশাখী একটি উত্সাহজনক দিন, যা কৃষি কাজের ফলস্বরূপ নতুন ফসল তোলার দিন হিসেবে পরিচিত।
Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন
বৈশাখী উৎসবের ইতিহাস খুবই পুরনো। এটি মূলত কৃষকদের জন্য একটি ফসল তোলার উৎসব হিসেবে শুরু হয়েছিল। পাঞ্জাবের কৃষকরা যখন তাদের খেতে নতুন ফসল কাটে, তখন তারা এই দিনটি আনন্দের সঙ্গে পালন করত। এটি তাদের পরিশ্রমের ফল লাভের দিন এবং নতুন সাফল্যের শুরু হিসেবে উদযাপিত হয়। বৈশাখী সেই দিনটিকে চিহ্নিত করে যখন কৃষকেরা তাদের সঞ্চিত ফসল বাজারে নিয়ে গিয়ে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করত। বৈশাখী উৎসবের গুরুত্ব শিখ ধর্মের জন্য আরও বেড়ে যায়। ১৬৯৯ সালে, গুরু গোবিন্দ সিংজি পাঞ্জাবের ঐতিহাসিক আনন্দপুর সাহিবে খালসা প্রতিষ্ঠা করেন। খালসার প্রতিষ্ঠা ছিল শিখ ধর্মের জন্য একটি বিশাল ঘটনা, এবং বৈশাখী দিনটি সেই প্রতিষ্ঠার দিন। শিখ সম্প্রদায় এই দিনটিকে শিখ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করে, গুরু গোবিন্দ সিংজি ও খালসার আদর্শকে সম্মান জানিয়ে পূজা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
পাঞ্জাবিদের জন্য গুরুত্ব:
বৈশাখী পাঞ্জাবিদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, পুরো পাঞ্জাবির জন্য এক ঐতিহ্যবাহী এবং ধর্মীয় উৎসব। কৃষকরা নতুন ফসল তোলার মাধ্যমে তাদের পরিশ্রমের ফল পায়, আর শিখরা তাদের ধর্মীয় অবদান ও গুরুদের আদর্শকে স্মরণ করে। এই দিনটিতে পাঞ্জাবিরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে, বাগি, ভাংড়া ও গিদ্দা নাচে মেতে ওঠে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে, মিষ্টি খাবারের আয়োজন করা হয়। এদিন পাঞ্জাবিরা ধর্মীয় স্থানে গিয়ে বিশেষ পূজা ও আরাধনা করে, খালসা প্রতিষ্ঠার দিনটির গুরুত্ব স্মরণ করে।
বৈশাখী শুধু পাঞ্জাবিদের জীবনের অংশ নয়, এটি তাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের একটি অঙ্গ। পাঞ্জাবি সংস্কৃতির আনন্দ, ঐক্য এবং সম্মানজনক জীবনযাত্রার প্রতীক হিসেবে বৈশাখী উৎসব পালন করা হয়।
রাজনীতি না ধর্ম? ওয়াকফ বিল নিয়ে সংসদে তীব্র সংঘর্ষ, কার স্বার্থসিদ্ধি?