ব্যুরো নিউজ,১২মার্চ: আপনি কি জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো পিরামিডটি মিশরের বিখ্যাত পিরামিডের চেয়েও পুরনো হতে পারে? অনেকের কাছে মিশরের পিরামিডগুলি প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম চিহ্ন হলেও, ইন্দোনেশিয়ার গুনুঙ্গ পদাং নামক একটি পাহাড়ের নিচে এমন এক পিরামিড লুকিয়ে আছে, যা এখনও বিজ্ঞানীদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটি দেখতে সাধারণ একটি পাহাড়ের মতো হলেও, গুনুঙ্গ পদাং-এর আসল সত্তা এখন বিজ্ঞানীদের গবেষণার আলোচনার বিষয়।
পিরামিডের রহস্য ওগবেষণা
কুকুর না বিড়াল!পোষ্য নির্বাচন করার আগে কোন পোষ্য আপনার জন্য ভালো হবে, সেটা বুঝে নিন
বিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ যন্ত্র, রাডারের মাধ্যমে মাটির নিচের স্তরের পরীক্ষা শুরু করেছিলেন। এই রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা দেখতে পান, গুনুঙ্গ পদাং আসলে একটি বিশাল পিরামিড, যা ধাপে ধাপে তৈরি করা হয়েছিল। এটা স্রেফ পাহাড়ের মতো দেখতে হলে, এর নিচে হাজার হাজার বছর পুরনো ইঁট-পাথরের কাঠামো রয়েছে, যা সভ্যতার বহু অজানা তথ্য প্রদান করছে।
গুনুঙ্গ পদাং-এর ওপরিভাগে এখনো সিঁড়ি, দেয়াল এবং বিশাল খোলা জায়গা দেখা যাচ্ছে, যা প্রায় ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ বছর পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও নিচে ৩ মিটার গভীরে বিজ্ঞানীরা এমন কিছু বড় পাথরের স্তম্ভ পেয়েছেন, যা প্রায় ৭,৫০০ থেকে ৮,৩০০ বছর পুরনো হতে পারে। ১৫ মিটার গভীরে আরও পুরনো কাঠামো পাওয়া গেছে, যা ৯,০০০ বছর পুরনো। সবচেয়ে গভীরে, ২৫ মিটার নিচে পাওয়া গেছে আরও পুরনো স্তর, যা বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ২৮,০০০ বছর আগের হতে পারে।
ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন বিশ্বের এই দেশগুলিতে। কোন কোন দেশ জেনে নিন
এত পুরনো একটি পিরামিডের অস্তিত্ব প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে—এটি কি সত্যি? আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ কি সত্যিই এত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারত? বহু বছর ধরে ধারণা করা হতো, সেই সময়ের মানুষ ছিল শুধুমাত্র শিকারী, ফলমূল সংগ্রহকারী এবং nomadic (যাযাবর)। তবে গুনুঙ্গ পদাং-এর আবিষ্কার প্রমাণ করছে, মানুষ অনেক আগে থেকেই অনেক উন্নত সভ্যতা গড়েছিল, যা ইতিহাসের বইতে জায়গা পায়নি।বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, প্রায় ১৪,০০০ বছর আগে পৃথিবীর এক বিশাল ভূখণ্ড—সুন্দাল্যান্ড—সমুদ্রের পানির নিচে ডুবে গিয়েছিল। এর ফলে অনেক সভ্যতা হারিয়ে যায়, এবং গুনুঙ্গ পদাং-এর মতো স্থাপত্যও তাতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
গুনুঙ্গ পদাং-এর মধ্যে এখনো তিনটি রহস্যময় কক্ষ রয়েছে, যেগুলোর ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি। কক্ষগুলো কী উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল? সেখানে কি মূল্যবান কিছু রাখা আছে? কে বা কারা এগুলো তৈরি করেছে? এসব প্রশ্ন এখনও অজানা। তবে গবেষকরা নিশ্চিত যে, এই প্রাচীন পিরামিড আমাদের অতীত সম্পর্কে অনেক নতুন ধারণা দিতে পারে।
সম্ভবত, গুনুঙ্গ পদাং-এর এই আবিষ্কার আমাদের ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করবে। বিজ্ঞানীরা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং হয়তো সামনে আরও অনেক অজানা তথ্য আমাদের জানতে দেবে, যা মানব সভ্যতার অতীতের অজানা দিকগুলো উন্মোচন করবে।