ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:শেষবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে, যেখানে ১৪০ কোটি ভারতীয় সমর্থকের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রাত এখনও অনেকের হৃদয়ে ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ মঙ্গলবার, দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নকআউট ম্যাচে। ফাইনালে ওঠার জন্য ভারতের সামনে আবার সেই চেনা প্রতিপক্ষ—অস্ট্রেলিয়া!
সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণা ভেঙ্গে বয়স্কদের নতুন করে জীবন শুরু করার নতুন পথ
ট্রফি কি আসবে?
তবে এই অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ২০২৩-এর বিশ্বজয়ী দলের তেমন মিল নেই। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও জশ হেজলউডের মতো তারকারা চোটের কারণে বাইরে। তাদের জায়গায় নতুন মুখরা সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা কেমন কাজে লাগবে, সেটাই প্রশ্ন। তবুও ভারতের জন্য লড়াই সহজ হবে না। কারণ দলে আছেন ট্রেভিস হেড, যিনি ভারতের স্বপ্ন দু’বার ভেঙেছেন—একবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে, আরেকবার বিশ্বকাপ ফাইনালে। সঙ্গে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্নাস লাবুশেনের মতো পরীক্ষিত পারফর্মাররা।
ভারতও এখন অনেক বদলে গেছে। সেই দলের তুলনায় এই দল আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ। জসপ্রীত বুমরাহ না থাকলেও স্পিন বিভাগে রয়েছে রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর পটেল ও কুলদীপ যাদবের দুর্দান্ত ত্রয়ী। তার সঙ্গে আছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বলের রহস্য এখনও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের অজানা। ব্যাটিংয়েও ভারত ভরসা পেয়েছে। শ্রেয়স আয়ার, অক্ষর পটেল ও হার্দিক পাণ্ড্যের দায়িত্বশীল ইনিংস ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।তবে কিছু চিন্তার জায়গাও আছে। বিরাট কোহলির বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা বরাবর সফল—তিনি কোহলিকে পাঁচবার আউট করেছেন। পাশাপাশি, বাঁহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার দুর্বলতা নতুন করে ভারতকে বিপদে ফেলতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার দুই বাঁহাতি পেসার স্পেন্সার জনসন ও বেন ডোয়ারশুইস এই সুযোগ নিতে চাইবে।
তরুণের প্রাণ বাঁচালো টুপি কেরামতি দেখুন বিষধর সাপের
২০১১ সালের পর আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চারবার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দু’দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে ভারত জিতেছে লিগ পর্বের ম্যাচ, আর অস্ট্রেলিয়া নকআউট পর্বে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ও ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে অজিরা।এবার কি বদলার গল্প লিখতে পারবে ভারত? রোহিত-কোহলির শেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট হলে, তাঁরা কি আরেকটি ট্রফি এনে দিতে পারবেন? উত্তর পাওয়া যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।