ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি:এক দিনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয় ছিল সারা বিশ্বে চমক। আর সেই জয়টির পিছনে ছিল আফগানিস্তানের প্রধান কোচ, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার জোনাথন ট্রটের অবদান। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আফগানিস্তান যে এক বড় অঘটন ঘটিয়েছে, সে কথা অনেকেই মনে রেখেছে। তবে এবার ট্রট আরও একবার আফগানিস্তানকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় এনে দিলেন।
ইব্রাহিম জ়াদরানঃ আফগানিস্তানের নতুন তারকা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি
কৌশল সঠিক
পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারিয়ে ট্রট আবারও প্রমাণ করলেন, তার কৌশল সঠিক ছিল।২০২২ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তান দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রট। তার পর থেকে আফগানিস্তান দলের খেলাধুলার ধরন সম্পূর্ণ বদলে যায়। ট্রট ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আফগানিস্তানকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলানোর দিকে নিয়ে যাবেন। তার এই পরিকল্পনা সফলও হয়েছে, কারণ অনেকেই জানে, আফগান দল এখন আর কেবল প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ নয়, বরং ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ হিসেবেও পরিচিত।
বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ১৭৭ রানের ইনিংসটি খেলে ইব্রাহিম জাদরান, সেটা ট্রটের অধীনে আফগানিস্তানের ক্রিকেটে ঘটে যাওয়া বড় পরিবর্তনের প্রতীক। ম্যাচের শুরুতে আফগানিস্তান কিছু উইকেট হারালেও, জাদরান ধীরেসুস্থে খেলে আফগানদের সঠিক পথ দেখান। পরে বড় শট খেলার সময়ও তিনি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। জাদরান তার ইনিংস সম্পর্কে বলেছিলেন, “এই ইনিংসটি আমার জন্য খুবই স্পেশ্যাল। আমি জানতাম পরিবেশ কেমন হবে, কারণ এশিয়া কাপে এখানে খেলেছিলাম। ম্যাচ জেতার জন্য আমি যেভাবে খেলা চালিয়ে গেছি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
আফগানিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের হারের ইতিহাসঃ ক্রিকেটে নয়া মোড়
আফগানিস্তান দলের অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়কে অঘটন হিসেবে না দেখে বলেছিলেন, “এটা আমাদের জন্য অঘটন নয়। আমরা প্রতিদিন উন্নতি করছি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমরা এইরকম খেলতে চাই।” তার কথায়, বিশ্বকাপে আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও, এবার তারা এক নতুন মনোভাব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে প্রস্তুত।ট্রটের অধীনে আফগানিস্তান যে শুধু রশিদ খান বা একক কোনো খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল নয়, তা এই ম্যাচের জয় প্রমাণ করে দিল। এখন আফগানিস্তানে একাধিক খেলোয়াড় রয়েছে, যারা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। রশিদ খান যদি না খেলেন, তবুও আফগান দল বিপর্যস্ত হয় না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয় তার প্রমাণ।অতএব, ট্রটের অধীনে আফগানিস্তান যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা শুধু একাধিক বড় দলের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে নয়, বরং তাদের মানসিকতার পরিবর্তনেও ফুটে উঠেছে। আফগানিস্তান এখন ক্রিকেটের বড় শক্তি, এবং তাদের সামনে আরও বড় লক্ষ্য অপেক্ষা করছে।