ব্যুরো নিউজ,২৬ ফেব্রুয়ারি :মহাশিবরাত্রি একটি অত্যন্ত পবিত্র দিন, যেটি ভগবান শিবকে পূর্ণ মনোযোগ সহকারে প্রার্থনা এবং ত্যাগের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করার দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিনে ভগবান শিবের পুজো করলে জীবনে সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি এবং দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহাশিবরাত্রি ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পড়েছে এবং এদিন শিবলিঙ্গে বিশেষ পূজা দেওয়া হয়ে থাকে।শিবলিঙ্গ পুজোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন উপাদান নিবেদন করেন যেমন—জল, পঞ্চামৃত, বেলপত্র, চাল, ধুতরা ইত্যাদি।
মহাকুম্ভ ২০২৫ঃ উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিতে এক বিশাল প্রভাব, কি বলছে পরিসংখ্যান?
শিবের উপস্থিতি
বলা হয় যে, মহাশিবরাত্রির রাতে শিবলিঙ্গে শিবের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং এই সময় শিবের পূজার অনেক ফল পাওয়া যায়। তবে, শিবলিঙ্গে কিছু জিনিস নিবেদন করা নিষিদ্ধ এবং সেগুলি জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।শিবলিঙ্গে সাধারণত চাল নিবেদন করা হয়, কিন্তু সূর্যাস্তের পরে শিবলিঙ্গে চাল নিবেদন করা শুভ নয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সময় শিবলিঙ্গে কোনো কিছু নিবেদন করা উচিত নয়, কারণ এই সময়কালে পূজা এবং নিবেদন নিষিদ্ধ।
এছাড়া, গ্রহণের সময়ে শিবলিঙ্গ স্পর্শ করা বা পূজা করা একেবারেই উচিত নয়, কারণ তা ভগবান শিবের ক্রোধকে জন্ম দিতে পারে।মহাশিবরাত্রিতে যখন শিবলিঙ্গে চাল নিবেদন করবেন, তখন অবশ্যই মন্ত্র জপ করা উচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শিবলিঙ্গে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ চাল নিবেদন করলে আর্থিক সমস্যা দূর হয় এবং জীবনের বাধাগুলি দূর হয়ে যায়। তবে, ভাঙা চাল কখনোই শিবলিঙ্গে নিবেদন করা উচিত নয়।
মহাশিবরাত্রিতে বিরল যোগঃ কোন কোন রাশির জাতক জাতিকাদের ভাগ্য বদলাতে চলেছে জানুন
ভাঙা চাল শিবলিঙ্গে নিবেদন করলে ভগবান শিব বিরক্ত হন এবং এর ফলে ভালো ফল পাওয়া যায় না।মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে শিবলিঙ্গে চাল নিবেদন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে পূজার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা যায় এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তাই শিবলিঙ্গের পূজা নিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান এবং সতর্কতা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ।