মহাশিবরাত্রি কেন পালন করা হয় জানেন?

ব্যুরো নিউজ,২৪ ফেব্রুয়ারি:‘মহাশিবরাত্রি’ একটি অত্যন্ত পবিত্র উৎসব, যা প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালন করা হয়। এটি ভগবান শিব এবং পার্বতীর বিয়ের দিন হিসেবে পরিচিত। পৌরাণিক কাহিনীতে বলা হয়েছে, এই দিনেই ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতী একে অপরকে বিবাহ করেন। তবে, অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, অন্যান্য দেব-দেবীর পুজো দিনবেলা হয়, শিবের পুজো কেন রাত্রি বেলা করা হয়?

মহাশিবরাত্রি ২০২৫: চন্দ্রের প্রভাবের কারণে কোন কোন রাশির ভাগ্য ঘুরবে জানেন? 

শিব তমোগুণে পরিপূর্ণ

পৌরাণিক মতে, ভগবান শিব তমোগুণে পরিপূর্ণ। তমোগুণের সাথে যুক্ত থাকে রাত্রি, কারণ রাতের সময় পৃথিবী এবং জগতের সমস্ত শক্তি শিথিল বা শান্ত থাকে। শিব রাত্রির আধ্যাত্মিক শক্তি গ্রহণ করেন, কারণ রাত্রি হলো ধ্বংসের সময়। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে চাঁদ তার ক্ষীণ অবস্থায় থাকে, যা চন্দ্রের ক্ষয়ের প্রতীক। এই সময়ে মানুষের মধ্যে তামসী প্রবৃত্তি বা অন্ধকার দিক বাড়ে, আর সেসময় তামসী প্রবৃত্তির উপশম করতে এবং সঠিক দিশা দেখাতে ভগবান শিবের আরাধনা করা হয়।

শিবের আরাধনার মাধ্যমে সেই তামসী শক্তির সংহার ঘটে, এবং নবীন সৃষ্টি শুরুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যেমন ফাল্গুন মাসে গাছের পাতা ঝরে যায় এবং নতুন পাতা গজায়, তেমনি শিবরাত্রির সময়েও পুরাতন ও অপ্রয়োজনীয় শক্তির ধ্বংস ঘটে এবং নতুন সৃষ্টি ও পুনর্জন্মের পথ তৈরি হয়।এছাড়া, শাস্ত্র অনুসারে শিবের আরাধনা রাত্রি বেলায় করা উচিত, কারণ এই সময়ে শিবের শক্তি সর্বাধিক প্রস্ফুটিত হয়।

মহাশিবরাত্রি ২০২৫: তিথি, পূজা এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানুন

শিবের অযুত মহিমা এবং তার অন্তর্গত শক্তির প্রভাবে, শিবরাত্রির ব্রত পালনকারী শক্তি লাভ করেন এবং নিজেদের জীবনে শান্তি ও শুভতার আশীর্বাদ লাভ করেন।মহাশিবরাত্রি শুধুমাত্র শিবের পূজা নয়, এটি জীবনের সমস্ত অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে নতুন আলোর পথে চলার এক চমৎকার উপলক্ষ্য। এই রাতে শিবের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলের জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর