কিস ডেঃ কাজের চাপ থেকে শুরু করে জীবনের নানান সমস্যা থেকে মুক্তির পথ শুধু একটি চুম্বন

ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন্স ডে-র আগের দিনটিকে একটি বিশেষ দিন হিসেবে উদযাপন করা হয়, যাকে বলা হয় কিস ডে।   চুম্বন শুধুমাত্র প্রেমের সম্পর্ক গাঢ়ই করেই না, এটি মানসিক শান্তিও দেয়। আমাদের জীবনে প্রতিদিন বাড়ছে কর্মচাপ এবং নানা সমস্যা, যার কারণে জীবনের গতিশীলতা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে একটি চুম্বনের অসীম গুরুত্ব রয়েছে।

‘লাইটইয়ার’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল ১৪টি দেশে? চুম্বন দিবসে জানুন নেপথ্যে কারণ

কিভাবে?

চুম্বন শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে সাহায্য করে না, এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, চুম্বন গভীর ভালোবাসার প্রকাশের এক ধরনের চিহ্ন। যখন দুজন মানুষ একে অপরকে চুম্বন করেন, তখন তাদের মস্তিষ্কে এনডরফিন নামক একটি হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনটি মানুষের মনকে তৎক্ষণাৎ ভালো করে দেয়। এর পাশাপাশি চুম্বন ডোপামিন নামক অন্য একটি হরমোনের ক্ষরণও বাড়াতে সহায়ক, যা আমাদের মনের মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে।

জীবনযাত্রার জটিলতায় স্ট্রেস আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ধ্বংস করে দিতে পারে, যার ফলে আমাদের চিন্তাভাবনা ও কর্মক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। এই স্ট্রেস কমানোর জন্য চুম্বন অত্যন্ত কার্যকরী। চুম্বন আমাদের হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যা আমাদের মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনে।এছাড়া, স্ট্রেসের কারণে মেটাবলিজমও স্লো হয়ে যায়। কিন্তু, একটি চুম্বন মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম। তাই চুম্বন শুধু মানসিক শান্তি দেয় না, শারীরিকভাবেও আমাদের ভাল অনুভব করতে সাহায্য করে।

কালীঘাটের চুম্বন নিয়ে এ কি বলল বাংলার youtuber কিরণ দত্ত?

আজকাল সম্পর্কের মধ্যে অনিশ্চয়তা বা শিথিলতা দেখা দেয়। তবে, একটি চুম্বন অনেকটাই সেই সম্পর্ককে পুনরায় দৃঢ় করতে পারে। এটি স্নেহ ও ভালোবাসার এক অদ্ভুত সংমিশ্রন। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কেই নয়, বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের স্নেহেও চুম্বনের গভীর গুরুত্ব রয়েছে। সুতরাং, চুম্বন শুধুমাত্র এক প্রেমের নিদর্শন নয়, এটি মানসিক এবং শারীরিক উভয়ভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর