রাজ্য বাজেটে ডিএ নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে

ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে এই মুহূর্তে ডিএ (ডিয়ারেন্সিয়াল এলাউন্স) নিয়ে আগ্রহ এবং প্রত্যাশা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর রাজ্য সরকার বাজেটে ডিএ ঘোষণা করেছিল, ফলে এ বছরও একই ধরনের ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মচারীরা। আজ, বুধবার বিধানসভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ হতে চলেছে, আর এই বাজেটের মধ্যে ডিএ ঘোষণা হবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।গত বছরের বাজেটে অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৪% ডিএ ঘোষণা করেছিলেন, যা জানুয়ারিতেই কার্যকর হয়েছিল। একই বছরে দুটি বার (মোট ৮%) ডিএ ঘোষণার পর কর্মচারীদের মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডিএ ঘোষণা করা হয়নি।

রাজ্য বাজেটে আবাস প্রকল্পের অগ্রাধিকারঃ মমতার পরিকল্পনা কি কি জানুন

কি হতে চলেছে বাজেটে?

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মচারীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করেছে, যার ফলে রাজ্যের কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ-এর ফারাক বেড়ে ৩৯% হয়ে গেছে (রাজ্যের ডিএ ১৪% এবং কেন্দ্রের ৫৩%)।সরকারি সূত্র মতে, ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বেতন এবং পেনশন খাতে যে বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডিএ বাবদ অতিরিক্ত খরচের কারণে সংশোধিত হিসাবে সেই বছরের খরচ হয়েছিল প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে বেতন, মজুরি এবং ভাতা বাবদ খরচ ছিল প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং পেনশন ও অন্যান্য অবসরকালীন সুবিধা বাবদ খরচ হয়েছিল প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বেতন-পেনশন খাতে বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে ৯১ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনেকের ধারণা, যদি এই বাজেটে ডিএ ঘোষণা করা হয়, তবে আগামী আর্থিক বছরের জন্য এই খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, গত প্রায় ১০ বছর ধরে ডিএ-সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার রায় কর্মচারীদের পক্ষে গেলেও, সুপ্রিম কোর্টে তার নিষ্পত্তি হয়নি। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র অভিযোগ করেছেন, উপযুক্ত হারে ডিএ না দিয়ে রাজ্য সরকার বিপুল অর্থ সাশ্রয় করছে।

রাজ্য বাজেট ২০২৫ঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট

তাঁর মতে, “রাজ্য সরকার স্বীকার করেছে যে, ডিএ না দিয়ে সাশ্রয় করা অর্থ উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে, অথচ কর্মচারীরা এই অর্থের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।” তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাশ্রয় করেছে ২ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা। যদি সেই অর্থ উন্নয়নে ব্যবহার হয়, তাহলে তার কৃতিত্ব কর্মচারীদের দেওয়া উচিত।”অপর মামলাকারী সংগঠন রাজ্য কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানিয়েছেন, “রাজ্য বাজেটে ডিএ বাড়ানো হলেও, তা খুব সামান্য হবে। বড় ব্যবধান কমানোর জন্য এবং সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের জন্য কর্মচারীরা আশা করছে বাজেট থেকে।”

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর