ব্যুরো নিউজ , ৬ ফেব্রুয়ারি :দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বুথফেরত সমীক্ষাগুলিতে একাধিক চমকপ্রদ ফলাফল সামনে এসেছে। বেশিরভাগ সমীক্ষার দাবি, একদশক পর ক্ষমতায় আসছে বিজেপি, এবং এই নির্বাচন থেকে সরকার গঠন করতে চলেছে তারা। এর মানে, এবার আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের পরাজয় হতে পারে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থাও তেমন শক্তিশালী নয় বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনঃ কেজরীওয়াল বনাম বিজেপি, সবার নজর ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের দিকে
বুথফেরত সমীক্ষা কি বলছে?
বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে একাধিক পন্থা:
- পি-মার্কের সমীক্ষা: এই সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিজেপি ৩৬ আসনের যাদুসংখ্যা পেরিয়ে ৩৯-৪৯টি আসন পেতে পারে। অপরদিকে, আপ পেতে চলেছে ২১ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন।
- জেভিসিও: এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বিজেপি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে। তাদের মতে, বিজেপি পাবে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন এবং আপ পাবে ২২ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে সর্বোচ্চ ২টি আসন।
- মাট্রিজের সমীক্ষা: তাদের মতে, এবারের নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি। আপ পেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন, এবং বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বোচ্চ ১টি আসন যেতে পারে।
- চাণক্য সমীক্ষা: চাণক্যও বিশ্বাস করছে, এবার বিজেপি এককভাবে সরকার গঠন করবে। তাদের মতে, বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন এবং আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেসের সর্বোচ্চ ৩টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা: এই সমীক্ষায়, ৬৩ হাজার ৫৩৪ জনের সঙ্গে কথা বলার পর বলা হয়েছে, আপ পাবে ৪১টি আসন, এবং বিজেপি পাবে ২৯টি আসন। কংগ্রেস আবারও শূন্য আসন পেতে পারে।
প্রচারের তুমুল উত্তাপ
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির রাজনীতি ছিল উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি সকলেই তাদের প্রচারে ঝড় তুলেছেন। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই আপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনী প্রচারে কেজরীওয়ালকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও করেছেন।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনঃ বুথফেরত সমীক্ষা এবং আসল ফলের মধ্যে বিস্তর ফারাক, কে হবে জয়ী?
এছাড়া, রাহুল গান্ধি ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন বেশি করে বুথে যেতে এবং ভোট দেওয়ার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে। এই উত্তপ্ত প্রচারের পর, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রাথমিক তথ্যে জানা যাচ্ছে, ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, এবং ভোটের হার আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।এখন সমস্ত চোখ ৮ ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে, যেখানে জানা যাবে কেমন শেষ হবে দিল্লির ৭০টি আসনের নির্বাচন।