ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:নতুন মায়েরা প্রায়ই একটি প্রশ্ন করেন—শিশুর জন্মের সময় তার ত্বক ছিল ফর্সা, কিন্তু কিছুদিন পর কেন তা শ্যামলা হতে শুরু করেছে? তাদের মনে থাকে নানা প্রশ্ন, যেমন—এটা কি স্বাভাবিক? আর কীভাবে শিশুর ত্বকের রং ফেরানো যাবে? আসলে, এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক এবং শিশুর ত্বকের উন্নতির সাথে সম্পর্কিত।
অনিয়মিত পিরিয়ডসের সাইকেল এবং শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পান করুন এই কার্যকরী পানীয়গুলি
মূল কারণ
জন্মের সময় শিশুর ত্বক বেশ ফর্সা দেখাতে পারে। তবে কিছুদিন পর শিশুর ত্বকের রং শ্যামলা হয়ে যেতে পারে। এর মূল কারণ হল শিশুর ত্বকে মেলানিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন না হওয়া। মেলানিন হলো সেই উপাদান যা ত্বকের রঙ নির্ধারণ করে। গর্ভাবস্থায়, মা যে হরমোনগুলি তৈরি করেন, তা শিশুর ত্বকের রংকে কিছুটা প্রভাবিত করে। তবে জন্মের পর শিশুর শরীর নিজস্ব হরমোন তৈরি করতে শুরু করে, যা ত্বকের প্রকৃত রঙের বিকাশ ঘটায়।শিশুর জন্মের সময় ত্বকের রঙ পরিবর্তন হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মায়ের গর্ভে শিশুর ত্বক সূর্যের রশ্মি থেকে বঞ্চিত থাকে, তাই সে সময়ে মেলানিন উৎপাদন কম হয়। তবে জন্মের পর শিশুটি সূর্যের আলো পেলে ত্বক মেলানিন তৈরি করতে শুরু করে, যা শিশুর আসল রংকে প্রভাবিত করে।
মুখে ব্রণ হচ্ছে মানেই আপনার শরীরে হুরহুর করে কমছে এই ভিটামিন। জানুন বিস্তারিত
এছাড়া, শিশুর ত্বকের প্রকৃত রংটি তার জেনেটিক্সের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, শিশুর দেহের প্রকৃত রঙ কিভাবে বিকশিত হবে তা তার পরিবার এবং পূর্ব পুরুষদের ত্বক রঙের ওপর ভিত্তি করে থাকে। শিশুর নিজস্ব ত্বকের রং অর্জন করতে সাধারণত ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে। তাই, যখন শিশুর ত্বকের রং বদলাতে থাকে, তখন চিন্তা করার কিছু নেই।
অনেকে মনে করেন যে দুধের সঙ্গে জাফরান বা অন্যান্য পদ্ধতি শিশুর ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে। তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ত্বকের প্রকৃত রং পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, শুধুমাত্র মেলানিনের পর্যাপ্ত উৎপাদনই এটি নির্ধারণ করে।এভাবে, শিশু যখন বড় হতে থাকে, তার ত্বক একেবারে স্বাভাবিক রঙে পৌঁছে যায় এবং তা তার জেনেটিক্স এবং পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।