ব্যুরো নিউজ, ২১ জানুয়ারি :সঞ্জয় রায়কে আরজিকর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করার পর সোমবার নিম্ন আদালত তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি আরজিকর কাণ্ডকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি আরও জানান যে রাজ্য সরকার এই শাস্তি নিয়েও উচ্চ আদালতে আপিল করবে এবং দোষীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাবে।
২০২৫ সরস্বতী পুজোঃ জানুন সেরা সময় ও তিথি
কি বললেন বিধায়ক এবং অভিনেতা?
এদিকে, সঞ্জয় রায়ের শাস্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক এবং অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহম বলেন, “আমরা আদালতের রায় মেনে নিতে বাধ্য, তবে আমার মন ভরেনি। অনেকের মতো আমিও চেয়েছিলাম অপরাধীর চরম শাস্তি হোক, ফাঁসি-ই চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।” সোহম আরও বলেন, আদালত যা মনে করেছে, তা ঠিকই করেছে, তবে তাঁর মতে এই শাস্তি অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করবে না এবং ভবিষ্যতে এর মতো ঘটনা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।তিনি বলেন, “এমন ঘৃণ্য মানসিকতা যাদের মধ্যে রয়েছে, তারা হয়তো ভাববে যে, ‘যাক, পার তো পেয়ে গেলাম, বাকি জীবনটা হজতেই কাটাব।’ এই শাস্তি আসলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।” সোহম আরও বলেন, “মানুষ দিনের পর দিন রাস্তায় নেমেছে, প্রতিবাদ করেছে, কিন্তু সবই ব্যর্থ মনে হচ্ছে। একটাই প্রশ্ন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কোথায়?’”
ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন নিয়মঃ দলীয় বাসে যাতায়াত বাধ্যতামূলক, ব্যক্তিগত যান নিষিদ্ধ
এছাড়া সোহম নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি, তবে তিনি তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। সোহমের মতে, আদালত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে, তবে তিনি মনে করেন যে এই ঘটনায় সঞ্জয় একা দায়ী নয়। “যারা এই ঘটনায় সঞ্জয়ের সাথে ছিল, তারা এখনও আড়ালে চলে গেছে,” বলেন সোহম। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “ওই রাতে ঘটনাস্থলে শুধু সঞ্জয় আর নির্যাতিতা ছিলেন, এমন তো নয়! তো কি আওয়াজ কিছু হয়নি?”সবশেষে সোহম বলেন, “যদি সঞ্জয় দোষী হয়, তবে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।”