ব্যুরো নিউজ,২০ জানুয়ারি :১৯ জানুয়ারি, শনিবার, সন্ধ্যা ৫টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ জানুয়ারি ভোরে বনানী এলাকায় বাবুলের বাসায়। গ্যাস লাইটারটি বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে তাঁর শরীরের প্রায় ৭৪ শতাংশ পুড়ে যায় এবং শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও, চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
কিভাবে ঘটলো?
বাবুল কাজী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের তৃতীয় সন্তান কাজী সব্যসাচীর ছোট ছেলে। বিদ্রোহী কবির পরিবারে জন্ম নেওয়া বাবুলের জীবনও ছিল এক ধরনের সংগ্রাম এবং সৃজনশীলতার পথে। তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি বড় শোকের খবর। বাবুল কাজী সম্পর্কে জানানো হয়, তিনি বাথরুমে ঢুকে লাইটার জ্বালানোর সময় গ্যাস লাইটারটি বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ঘরে জমে থাকা অন্য কোনো গ্যাসের কারণে এই বিপত্তি ঘটে।তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। ১৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হলেও, তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক ছিল। তিনি সেদিন বিকেলে মারা যান। বাবুল কাজীর মৃত্যু তাঁর পরিবারে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে, বিশেষ করে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বংশধরের মধ্যে।
এবার বন্ধ হতে চলেছে খোলাবাজারে মুরগির মাংস বিক্রি
কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো বাবুলও সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল। তার মৃত্যু বাংলাদেশের সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। কাজী নজরুল ইসলামের অবদান ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাবুল কাজীও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন, তবে জীবন যুদ্ধে তিনি হেরে গেলেন।এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এই খবরের পর, কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি ও তার সাহিত্যকে সম্মান জানানোর প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক মন্তব্য করেছিলেন কাজী রেজাউল করিম, তিনি বলেছিলেন, “আজ যদি কবি জীবিত থাকতেন, হয়তো তিনি ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে প্রদত্ত সম্মান ফিরিয়ে দিতেন।”