আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত

ব্যুরো নিউজ,১৮ জানুয়ারি:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। ১২ মিনিটের মধ্যে রায় ঘোষণা হয়ে যায়, যার পর সঞ্জয় আদালতের ভিতরে চিৎকার করে দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তিনি বলেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে, কীভাবে আমি এমন একটি অপরাধ করতে পারি?” সঞ্জয়ের এই দাবি সত্ত্বেও বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত অপরাধের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্তঃ আগামী সোমবার রায় ঘোষণা

একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত

এদিনের শুনানির সময় বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “৯ অগস্ট ভোরে আপনি আরজি কর হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। সেখানে একটি মহিলা চিকিৎসককে আক্রমণ করেন, তাঁর গলা চেপে ধরেন এবং যৌন হেনস্থার পাশাপাশি তাকে খুনও করেন।” বিচারক আরও বলেন, “আপনার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন এবং অপরাধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সিবিআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে আপনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।”এদিন সঞ্জয় আদালতে দাবি করেন, তার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, যা তিনি নিজের নির্দোষতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি অপরাধ করতাম, তাহলে আমার রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ত।” যদিও বিচারক জানান, “আপনার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং শাস্তি ঘোষণা করা হবে সোমবার।”এদিকে, সঞ্জয়ের পরিবার ও তার পক্ষ থেকে বারবার নির্দোষতার দাবি করা হলেও আদালত এই মামলায় সঞ্জয়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

কোমর ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হল এই আসন।অভ্যাস করুন আজ থেকেই

এর আগেও সঞ্জয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, যেখানে তিনি হাসপাতালের সেমিনার হলে প্রবেশ করেন এবং কিছু সময় পর বেরিয়ে যান। ঘটনার সময় সেমিনার হল থেকে একটি ব্লুটুথ হেডফোন উদ্ধার হলেও রুদ্রাক্ষের মালার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।শিয়ালদহ আদালতের রায় শুনে নির্যাতিতার বাবা-মা কেঁদে ফেলেন এবং বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “আপনার উপর যে আস্থা ছিল, তার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন।” বিচারক তাঁদের আশ্বস্ত করেন যে, সোমবার শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার শাস্তি নির্ধারণ করবে, যেখানে মৃত্যুদণ্ডও সম্ভাব্য শাস্তি হতে পারে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর