ব্যুরো নিউজ,৫ ডিসেম্বর:আফগানিস্তানে মহিলাদের জন্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। এই সিদ্ধান্ত দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান ও মহম্মদ নবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞার কড়া প্রতিবাদ করেছেন।রশিদ খান তার পোস্টে বলেছেন ‘শিক্ষা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা পুরুষ ও মহিলার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ করার ঘটনা আমাকে অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বোন-মায়েদের বিষণ্ণ মুখ দেখে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়। শিক্ষা শুধু ব্যক্তিগত নয়, দেশের উন্নয়নের মেরুদণ্ড। মহিলাদের শিক্ষিত হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার শামিল।’
আরজি কর ইস্যুর পরও শাসকদলের জয়, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট কি বললেন?
ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড়
তালিবান সরকার আগে থেকেই আফগান মহিলাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে চলেছে। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া কোনো পুরুষ ডাক্তার মহিলাদের চিকিৎসা করতে পারেন না। এবার নার্সিং শিক্ষাও বন্ধ করায় স্বাস্থ্যসেবার সংকট আরও তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।রশিদ আরও লেখেন ‘মহিলা ডাক্তার ও নার্সের অভাবে মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের বোনদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ফিরিয়ে আনা নৈতিক দায়িত্ব। এটি শুধু সামাজিক নয়, ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।’
তথাগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া
মহম্মদ নবিও তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তালিবানের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন ‘মহিলাদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে জাতিকে পিছিয়ে দেওয়া। এই সিদ্ধান্ত কেবল নারীদের ভবিষ্যৎই নয়, পুরো সমাজের কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ রশিদ ও নবি আফগান ক্রিকেটের গর্ব। তারা শুধু মাঠের নক্ষত্রই নয়, মানবাধিকারের প্রশ্নেও গর্জে উঠেছেন। রশিদ বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। বর্তমানে তিনি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলছেন।তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।