ব্যুরো নিউজ,৫ ডিসেম্বর:কলকাতা পুরসভায় গত ২৮ জুন থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেআইনি নির্মাণের ৫২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ ভাঙা হয়েছে মাত্র ২৬৪টি। বিল্ডিং বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হার খুবই কম। বুধবার গরফার ঘোষপাড়ায় একটি চারতলা বেআইনি ভবন ভাঙতে গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের বাধার মুখে পড়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা।টানা পাঁচবার চেষ্টা করেও পুরো ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৩০তম বর্ষে চাঁদের হাট
পুরসভার নিষ্ক্রিয়তা
পুর ইঞ্জিনিয়ারদের অভিযোগ বেআইনি ভবন ভাঙতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন, কখনও মহিলারা একজোট হয়ে হেনস্থা করেন। পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ না থাকায় পিছু হটতে বাধ্য হন তারা। ১৫, ৩, ৭ এবং ১২ নম্বর বোরোতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ব্যাপক হলেও ভাঙার সংখ্যা অনেক কম। উদাহরণস্বরূপ ১৫ নম্বর বোরোতে ১২৭টি অভিযোগের মধ্যে ভাঙা হয়েছে মাত্র ২৭টি।পুরকর্মীদের অভিজ্ঞতা আরও তিক্ত। কখনও তাদের বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় কখনও বাড়ির মধ্যে আটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েও বাধা দেওয়া হয়।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪, প্রথম দিনের চমক ও দেখার সময়সূচি
গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে পুরসভা এসওপি তৈরি করলেও বেআইনি নির্মাণ রোখা যায়নি। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের বক্তব্য ‘৫২৫টি অভিযোগ জমা পড়লেও ভাঙা হয়েছে মাত্র ২৬৪টি। এই তথ্য পুরসভার নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে।’