ব্যুরো নিউজ ১৪ নভেম্বর :গ্রীষ্ম হোক বা শীত কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের নানা সমস্যা নিরাময়ে অনেকেই ভরসা রাখেন ইসবগুলের ভুসিতে। পেটের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষত রাতে খাবার পর ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য ইসবগুল ভিজিয়ে খেলে পরদিন সকালে অনেকেই শৌচাগারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন না। ইসবগুলের ভুসির মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। যা পেটের সমস্যাগুলির নিরাময়ে সহায়তা করে। জলে ভিজে ইসবগুল ফুলে ওঠে এবং পিচ্ছিল হয়ে যায় যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।তবে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাসের সমস্যা নয়, ইসবগুলের আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যে জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা
ইসবগুলের ভুসি আর কী কী কাজে লাগে?
ওজন কমাতে আদা-লবঙ্গ চায়ে চুমুক দিন! কখন খাবেন জানুন
১) হজমের উন্নতি: ইসবগুলের মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে যা পেটফাঁপা বা গ্যাস্ট্রোএনটেস্টিন্যাল সমস্যার সমাধান করে। নিয়মিত এটি খেলে হজমে সমস্যা কমে।
২) খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: ইসবগুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৩) দূষিত পদার্থের অপসারণ: ইসবগুল শরীরের ভেতরে জমা থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়ক। অন্ত্র পরিষ্কার রাখলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঠান্ডা-কাশি দূর করতে ঘরোয়া অমৃত তৈরির সহজ রেসিপি
৪) ডায়াবেটিসে উপকারী: ইসবগুলে থাকা ফাইবার রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শোষণকে বাধা দেয়। ইনসুলিনের সঠিক উৎপাদন ও ক্ষরণ বজায় রাখে।
৫) প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ: ইসবগুল অন্ত্রের জন্য প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে যা অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম সুষ্ঠু হয় এবং হজম সহজ হয়।