ব্যুরো নিউজ,২৯ অক্টোবর:‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ সম্পর্কে উদ্বেগের মধ্যেই কেন্দ্র সরকার দেশবাসীকে সতর্ক করেছে নতুন এক সাইবার জালিয়াতির বিষয়ে। অনলাইন প্রতারণার ঘটনায় সাধারণত দেখা যায়, প্রতারকেরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে না। এর কারণ হলো, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ফলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তারা তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে, যেটা ভাড়ায় নেওয়া অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিত।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার জানায়, সাইবার প্রতারকেরা এই ভাড়ায় নেওয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বেআইনি ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ তৈরি করছে। গুজরাত ও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশএর সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় করা অভিযানে এই সমস্ত তথ্য হাতে এসেছে।
সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচার টিপসঃ কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সতর্কবার্তা
বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্র এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করে। অনলাইন প্রতারণার ক্ষেত্রে ভাড়া নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নতুন কিছু নয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণ মানুষের থেকে ভাড়া নেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ক’ নামের ব্যক্তির নামে হয়, তবে সেটি ব্যবহার করেন ‘খ’ নামের অন্য ব্যক্তি। এই ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে অপরাধের টাকা হাতবদল হয় এবং সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব থেকে দেশের মোট জিডিপির প্রায় ০.৭ শতাংশ অপরাধের টাকার অঙ্ক তৈরি হচ্ছে।প্রতিদিন চার হাজারের বেশি ভাড়া নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের অ্যাকাউন্ট সাধারণত সমাজমাধ্যম, বিশেষ করে টেলিগ্রাম ও ফেসবুকে ব্যবহার করা হয়।
‘ডিজিটাল অ্যারেস্টে’র মাধ্যমে প্রতারণাঃ প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা সাইবার অপরাধ নিয়ে
এই অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশ বিদেশ থেকে পরিচালিত হয় এবং সাইবার জালিয়াতেরা এগুলোকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়।প্রতারকেরা এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভুয়ো ওয়েবসাইট, যেমন লগ্নির জাল ওয়েবসাইট, অনলাইন জুয়ার ভুয়া প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি তৈরি করছে। একবার কেউ তাদের ফাঁদে পড়লে, অর্থ দ্রুত তাদের ভাড়ায় নেওয়া অ্যাকাউন্টে চলে যায় এবং পরে তা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঘোরানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিছু ভুয়ো ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ নামের উল্লেখ করেছে, যেমন ‘পিস পে’, ‘আরটিএক্স পে’, ‘পোকো পে’ এবং ‘আরপি পে’।